গত ২৩ আগষ্ট বেলাজিয়াম সময় বিকাল ৫টায় ও বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় বজলুর রশিদ বুলুর সভাপতিত্বে জাতীয় শোক দিবস ও রক্তাক্ত ২১ আগষ্টের শহীদদের স্মরণে বিশ্ব ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এম.পি। তিনি তার বক্তব্যে জনাব বজলুর রশিদ বুলু, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সভাপতির গৃহীত উদ্যোগ “বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার” এর সাফল্য কামনা করেন। ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার পরিবারসহ হত্যাকারিরাই ২১ আগষ্ট জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ছিল। ইতিহাসের এই জঘন্যতম হামলার সাথে সম্পৃক্তদের তালিকা প্রণয়নে কমিশন গঠন সময়ের দাবি বলে আলোচনায় উঠে আসে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বেলজিয়ামের বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ বক্তব্য রাখেন। সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সংযুক্ত থেকে তাদের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। আলোচনা পূর্বাপর “বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার”এর আহবায়ক কমিটির সভাপতি হিসেবে বজলুর রশিদ বুলু ও সদস্য সচিব হিসেবে ড. মোল্লা হক দায়িত্ব পালন করবেন বলে আলোচনা করা হয়। তবে বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরিদের কেউ বিশেষ করে শেখ রেহানা “বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার”এর সভাপতির আসন গ্রহণ করলে বজলুর রশিদ বুলু সেক্রেটারি পদে নিযুক্ত হবেন বলে উল্লেখ করা হয়। আলোচনায় জাতীয় সংবাদ সংগ্রহ সংস্থা এনএনসির প্রেসিডেন্ট ও দৈনিক সংবাদ প্রতিক্ষণের বার্তা সম্পাদক আলহাজ্ব মাসুম বিল্লাহ আহবায়ক কমিটির সমর্থন জানিয়ে বলেন, কম্পিউটারের সাথে তুলনা করলে আহবায়ক মনিটর ও সদস্য সচিব সিপিইউর সাথে তুলনা করা যায়। এবার যোগ্যদের নেতৃত্বে “বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার”এর কার্যক্রম বেগবান হবে। “বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার”এর মাধ্যমে রক্তপাতহীন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ঘোষিত হবে বলে দৃঢ়তার সাথে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
“বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার”এর সদস্য সচিব ড. মোল্লা হক তাদের চলমান রিসার্চ/গবেষণার ওপর ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও গৃহিত কার্যক্রম সকলের সামনে তুলে ধরেন। সভাপতির ভাষণে “বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার”এর উদ্যোক্তা বলেন- বঙ্গবন্ধুর নামে দেশে ভুইফোড় সংগঠনের দুর্নাম থেকে “বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার”কে বের করে আনতেই আমরা বঙ্গবন্ধু পরিবারের একজন সদস্যকে সভাপতি হিসেবে আসন গ্রহণের কথা জানিয়েছি। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাষ্টের অনুমোদন সাপেক্ষে “বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার” পরিচালিত হবে বলে দৃঢ়তা প্রকাশ করেন। -এনএনসি