সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে চীনের তৈরি কোভিড-ভ্যাকসিনের অগ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি ‘ব্যক্তিগতভাবে খতিয়ে দেখছেন’ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ খান সম্প্রতি এ কথা জানিয়েছেন। ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রশিদ খান এ কথা বলেন।
রশিদ খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীসভায় আরও বলেছেন সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।’ তার বক্তব্য উদ্বৃত করে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সিনোফার্ম খুবই ভালো একটি ভ্যাকসিন এবং এ জন্য আমরা চীনের সহযোগিতাকে স্যালুট জানাই।’
চীনা কোম্পানির তৈরি সিনোফার্ম কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) জরুরি ব্যবহারের তালিকাবদ্ধ করা হয়। চীনের ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপের (সিএনবিজি) সাবসিডিয়ারি বেইজিং বায়ো-ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যল প্রোডাক্টস কোম্পানি লিমিটেড এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। ডব্লিউএইচওর থেকে অনুমতি সত্ত্বেও কেউ কেউ ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) পক্ষ থেকে গত এপ্রিলে বলা হয় চীনা করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ‘উচ্চমানের নয়’ এবং এটি নিয়ে আরো কাজ করা প্রয়োজন। সংস্থাটির এ মন্তব্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের কার্যকারীতার প্রশ্নে এক বিরল মন্তব্য।
চায়না সিডিসি পরিচালক জর্জ গাও বলেন, ‘বর্তমান ভ্যাকসিনগুলোর কার্যকারিতা খুব বেশি না হওয়ার সমস্যা সমাধানে’ ভ্যাকসিনটি পরিবর্তনের ‘আনুষ্ঠানিক উপায়গুলো ভেবে দেখছে’চীন। গাওয়ের এই মন্তব্য প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা পুরোপুরি সেন্সর হওয়ার আগেই চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে এই মন্তব্য অস্বীকার করা হয়েছে।
চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জানিয়েছে, বেইজিং পাবলিক চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে বিশ্বের ৮০টি দেশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে, ৪৩টি দেশে ভ্যাকসিন রপ্তানি করেছে এবং বিশ্বব্যাপী ৩০০ মিলিয়ন ডোজ্য ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে জরুরি ব্যবহারের জন্য চীনের ফার্মাসিটিক্যল কোম্পানির তৈরি দ্বিতীয় টিকা হিসেবে করোনাভ্যাকের অনুমোদন দেয় ডব্লিউএইচও।