পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য ১৭ মে সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে আটকে রাখে। পরে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এখবর ছড়িয়ে পড়লে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকদের মধ্যে চরম উদ্বিগ্ন ও অস্বস্থিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি গোটা সাংবাদিক মহলকে ভাবিয়ে তোলে। এ বিষয়ে সচিবালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকেরা স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেন। কিন্তু সচিবের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
সাংবাদিক রোজিনাকে শারীরিক লাঞ্চিত হওয়া এমনকি অসুস্থ হয়ে পড়ার ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। শাহবাগ থানার সামনে সংক্ষুব্ধ সাংবাদিকদের মিছিল করতে দেখা যায়।
ফিলিস্তিনে গণমাধ্যমের ওপর ইসরাইলি বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে এনএনসি যেই দিনে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সেই দিন ১৭ মে দেশের শীর্ষ সংবাদ মাধ্যমের একজন সাংবাদিককে হেনস্থার ঘটনা ঘটে। জাতীয় সংবাদ সংগ্রহ সংস্থা এনএনসি পক্ষ থেকে প্রথম আলোর সাংবাদিককে বাংলাদেশ সচিবালয়ে এভাবে ন্যাক্কারজনক হেনস্থার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান হয়।