শীতের হিমশীতল সকাল,
আধো আধো আলো,
শিশির ভেজা সবুজ পাতার ফাঁকেই মারে উকিঁ।
লাল, নীল, হলুদ, রঙ বেরঙের টিউলিপ ঝাঁকে ঝাঁকে।
কত পথিক হেটেছে এই পথে তোমার রূপের মাধুর্যে।
ফিরে ফিরে চায় নানা রংএর মেলাতে।
দেখে মনে হয় , নতুন বউ সেজেছে আটপাড়ে সাজে।
কত তরুণী খোঁপায় গোজে ফুল, কত তরুণী গাথে মালা।
তোমায় দিয়ে অর্ঘ্য সাজায় দেব দেবীর পুজার থালা।
তোমায় দিয়ে বাসর সাজায়,
সৌরভ বিকিরণ হয় নববধূর লাজে।
সকাল গড়িয়ে তপ্ত রৌদ্রে ঝড়ে পড়ো তুমি অযত্নে।
কেহ তখন রাখে না মনে প্রস্ফুটিত হয়েছিল নিশিথে।
অভাগা তুমি শুকিয়ে যখন পড়ে থাকো গাছের নীচে,
কত পথিক হেটে যায় ফিরে নাহি দেখে তোমার পানে।
আর্তনাদের কান্নার সুর চাপা পড়ে যায় পথিকের পদতলে।
দিনের শেষে পাখিরা ফিরে যায় নীড়ে,
রাতের নিশিথে নতুন ভোরের আশায়।
তুমি যে ফুল সৌন্দর্যই তোমার প্রতীক।
ঋতুরাজ বসন্তের আগমনী বার্তায়,
আবার নতুন আশায় সুগন্ধ ছড়াও একটি নতুন সকালের।