মানিকগঞ্জ-১ আসনের এম.পির আত্মীয় পরিচয়দাতা আসাদুর রহমান মিঠুর ভয়ে রাসেল মিয়া প্রায় বছর ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এম.পি আদৌ তাকে চিনে কিনা সন্দেহ থাকলেও মিঠুর ভয়ে শুধু রাসেলই নয়; তার সহদর ভাইও আজ গ্রামছাড়া। এদিকে অসহায় শিশুকন্যাসহ স্ত্রী, ছোট বোন, বাবা ও প্যারালাইসিসে পঙ্গুপ্রায় রাসেলের মায়ের আহাজারি কেউ শোনার নেই। মিঠুর ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে নারাজ। যেহেতু মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানায়ও মিঠুর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়না।
মিঠুর ভয়ে পালিয়ে ঢাকায় পত্রিকা অফিসে স্বশরীরে এসে মোঃ রাসেল মিয়া (৩২) মৌখিক এবং লিখিতভাবে জানায় যে, গত ৫ মে ২০২০ইং তারিখ বেলা আনুমানিক ১২টায় প্রতিবেশি মোঃ বক্তার আলীর সাথে জমিজমা নিয়ে ঝগড়া বাধে। এবিষয়ে গ্রাম্য শালিস মেম্বার-চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করে প্রতিপক্ষের হয়ে আসাদুর রহমান মিঠু সদলবলে লাঠিসোটা নিয়ে এসে রাসেলের পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে মেরে রক্তাক্ত করে ফেলে। তাদের লাঠির আঘাতে পঙ্গুপ্রায় মাও রেহাই পায়নি। রাসেলের শিশুকন্যাটিকে মায়ের কোল থেকে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দেয় মিঠুর সন্ত্রাসী বাহিনী। রাসেল ও তার ছোট ভাই রানা ঘরে না থাকায় তারা প্রাণে বেচে যায়। তাদেরকে পেলে নিশ্চিত হত্যাকান্ড ঘটে যেতো বলে গ্রামবাসিদের ধারনা।
অসহায় বৃদ্ধ মা-বাবা, ভাই-বোন ও শিশুকন্যাসহ স্ত্রীকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে আসে কিন্তু এযাবৎ রাসেল ও তার একমাত্র ছোট ভাই রানা তাদের আপন পরিবারের কাছে ফিরতে পারছেনা। মিঠু তাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি অব্যাহত রেখে চলছে। এদিকে রাসেল অনুপায় হয়ে ২১ ডিসেম্বর ২০২০ইং তারিখ মানিকগঞ্জ জেলা দায়রা জজ কোর্টে একটি মামলা (মামলা নং ৫৩১/২১/১২/২০২০) দায়ের করে। কিন্তু তার তদন্তে ঘিওর থানা মিঠুকে নির্দোষ হিসেবে প্রমাণ করেছে বলে রাসেল এখন আরো জীবনের ঝুকি নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বিষয়টি মানবাধিকার সংস্থাসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি গোচরে আনার জন্য এ প্রতিবেদন তৈরি ও প্রচার কার্য ধারাবাহিকভাবে চলবে। -এনএনসি