আমাদের দেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তারকা ববিতা কেমন আছেন? তা জানার কৌতুহল তার অগণিত ভক্ত সকলেরই। ববিতার ছাদকৃষির ভিডিও দর্শকদের মাঝে দারুণ এক মুগ্ধতা তৈরি করেছে। সম্প্রতি স্বাধীনতা নামের নতুন একটি ছবির কথা চলছে তাকে নিয়ে। এখনকার কাটানো সময় নিয়ে কথা বলেছেন বিনোদন প্রতিদিনের সঙ্গে। কথা বলেছেন তানভীর তারেক।
কেমন আছেন আপনি?
এই যেভাবে যতটুকু সুরক্ষিত থাকা যায়। যতটুকু সাবধানে থাকা যায়। আমি তো সবসময়ই নিজের মতোই ছিলাম, এখনো তেমন। তবে করোনার কারণে অন্যদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাত্ কমে গেছে।
একটা নতুন ছবি করছেন এমনটা খবর শুনলাম। শহীদুল হক খানের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় ছবিটির নাম স্বাধীনতা। এটা তো আমাদের জন্য দারুণ ব্যাপার। এ সম্পর্কে আপনার কাছ থেকে শুনতে চাই—
এখনো চূড়ান্ত কিছু্ হয়নি। প্রাথমিক একটা কথা হয়েছে। গল্পটা শুনে ভালো লেগেছে। কিন্তু চূড়ান্ত কথা দিইনি। আর এখন তো আপনারাও জানেন শুটিং করতে গিয়ে অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই আমি নিজেও এ ব্যাপারে খুবই সচেতন থাকার চেষ্টা করছি। তাই যদি করিও থাকি ছবিটি তাহলে পৃথিবী সাধারণ ও নিরাপদ হওয়ার পরেই শুরু করবো।
এমনিতে সময় কাটছে কিভাবে? এত দীর্ঘ সাফল্যের জীবন পেরিয়ে আসা একজন কিংবদন্তীর রুটিন কেমন হয় তা জানতে ইচ্ছে করে?
একেবারেই বদলে গেছে বেশ ক’বছর। আমার গাছ-গাছালির সঙ্গে প্রেমের খবর তো সবাই জেনে গেছে এখন। সেটা তো চলছেই। যুক্ত হয়েছে বই পড়া। আর নামাজ-কালাম ও কিছু ইবাদতের বই পড়েও সময় কাটাই। আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে কথা বলি। ছেলে খোঁজখবর নেয়।
ছেলের সঙ্গে কিভাবে সময় কাটে। ও তো কানাডায়। মিস করেন নিশ্চয়ই—
সে কি আর বলতে! এর ভেতরে তো কয়েকবার যাওয়া হয়ে যেত আমার। এখন আমিও যেতে পারছি না। ওকেও যে আসতে বলবো সেটিও ভয় করছে! এখন ঐ ভিডিও কলই ভরসা। অণিকের সঙ্গে বলা চলে প্রায় সারাদিন। মায়ের মন তো! মনে হয় ও পাশের ঘরেই আছে। যখনই মন বলে কল দিয়ে দিই।
অন্য কারো কাজ কী দেখার সময় পাচ্ছেন? দেখলেও কী দেখছেন?
এটা সত্য টিভি খুব একটা দেখা হয় না। এখন অণিকের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের ছবি নিয়ে গল্প হয়। দেখা গেল, ও একটা দুর্দান্ত মুভি দেখেছে, প্রথমেই ও আমার সঙ্গে শেয়ার করবে। তখন ও আমাকে কিছু ছবি, সিরিজের রেফারেন্স পাঠায়। সেগুলো দেখি। দেখে আবার মা-ছেলে আলোচনা করি।
এমনিতে তো কোনো অনুষ্ঠান বা দাওয়াতেও অংশ নিচ্ছেন না?
একেবারেই না। এমনকি আমার অ্যাপার্টমেন্টেও এখন বাইরের কাউকেই অ্যালাউ করে না। যেহেতু করোনার এই সেকেন্ড ওয়েভ চলছে, তাই নিজেদেরই এখন সাবধান থাকতে হবে।
আপনার সহকর্মী ওপারের সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় মারা গেলেন। এছাড়া সত্যজিতের নায়িকা হিসেবে কোন সময়টা আপনাকে খুব তাড়ায়?
সৌমিত্র দার মৃত্যু আমার জন্য ভীষণ কষ্টের। আবার মনে করিয়ে দিলেন। তবে একটা কথা বলে রাখি আমি প্রতিদিন সত্যজিতের একটি করে ছবি দেখি। এটা আমার এখনকার নিয়মিত অভ্যেস। সবগুলো ছবি আমার সংগ্রহে। শুধু নিজের ছবি না, ঘুরে ফিরে সত্যজিতের ছবিগুলো দেখতে থাকি।