ক্যারিয়ারে অনেকবার বাঁধা এসেছে, কিন্তু প্রতিবারই সব বাঁধা দূরে ঠেলে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে।
যখনই তার ক্যারিয়ারে ইনজুরির হানা দেয়, তখনই ঘুরে দাঁড়ান। সব বাঁধা পেছনে ফেলে গতির ঝড় তোলেন ২২ গজের পিচে। এবার সেই মাশরাফি অনেক দিন পর রাজকীয় প্রত্যাবর্তন করলেন। বঙ্গবন্ধু কাপে ৫ উইকেট নিয়ে একাই বিধ্বস্ত করে দিয়েছেন গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে।
৪ ওভার বল করে ৩৫ রানে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার নতুন করে গড়লেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। এর পাশাপাশি টি-টোয়েন্টিতে ১৫০ উইকেটের মাইলফলকও ছুঁয়ে ফেলেন মাশরাফি।
ম্যাচশেষে মাশরাফি বলেন, সঠিক জায়গায় বল করাতেই মিলেছে উইকেট। এটায় তো কোনো রহস্য নেই! বল ঠিক জায়গায় করতে হবে, এই একটা জিনিস। স্কোরবোর্ডে বড় রান জমা করায় সতীর্থ ব্যাটসম্যানদেরও কৃতিত্ব দেন তিনি।
মাশরাফি আরো বলেন, ক্রিকেট মানসিকতার কথা। সময়টা কঠিন ছিল। করোনা পজিটিভ হওয়া সহজ ছিল না। আমি ফিট হওয়ার চেষ্টা করছিলাম, তখনই হ্যামস্ট্রিং চোটে পড়ি। সহজ ছিল না। তবে আমি লেগে ছিলাম। আত্মবিশ্বাস ছিল এই টুর্নামেন্টটা খেলতে পারব। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, এটাই হয়েছে। এরপর কিছু উইকেট পাওয়ায় নিজে আত্মবিশ্বাস পেয়েছি।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপের প্রথম কোয়ালিফায়ারে প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে জেমকন খুলনা। পুরো ম্যাচে খুলনার ব্যাটসম্যানদের দাপটের পাশাপাশি ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট নিয়ে চমক দেখান মাশরাফি বিন মর্তুজা।