মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরেই টানাপোড়েন চলছিল যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বারের। এবার জানিয়ে দিলেন পদত্যাগের সিদ্ধান্ত।
সোমবার উইলিয়াম বার জানান, বড়দিনের আগেই আগামী সপ্তাহে পদত্যাগ করবেন তিনি। টুইট করে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্পও। পদত্যাগ না করলে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সর্বোচ্চ আইনজীবী হিসেবে বারের মেয়াদ শেষ হতো ২০ জানুয়ারি, যেদিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদ শেষ হবে ট্রাম্পেরও।
দেশটির ইলেকটোরাল কলেজ প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনকে জয়ী ঘোষণার অল্প কিছুক্ষণ পরই বারের পদত্যাগের ঘোষণা এলো।
পরে টুইট বার্তায় ট্রাম্প লিখেছেন- হোয়াইট হাউজে অ্যাটর্নি জেনারেল বারের সঙ্গে একটু আগে খুব ভালো বৈঠক হয়েছে। আমাদের সম্পর্ক বেশ গভীর। তিনি তার দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছেন। বারের পদত্যাগপত্রে লেখা রয়েছে, পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে বড়দিনের আগেই হোয়াইট হাউজ ছাড়ছেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, অসাধারণ ব্যক্তি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ রোজেন ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন রিচার্ড ডোনোঘু ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।
এর আগে ট্রাম্প বেশ কয়েকবার বারকে বরখাস্তের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধারণা ছিল, শিগগিরই এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না তিনি।
ট্রাম্পের সহযোগীদের ভাষ্য, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেলের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। শুক্রবার ট্রাম্প তার কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে আবার বলেন, তিনি বারকে বরখাস্ত করতে চান।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপির প্রমাণ না পাওয়ার কথা বলেছিলেন বার। কারচুপি নিয়ে ট্রাম্পের ভিত্তিহীন অভিযোগের সঙ্গে সুর না মেলানোয় তোপের মুখে ছিলেন বার।
এ ছাড়া নির্বাচনি প্রচারের সময় দেশটির জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট যে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে তদন্ত করছে, তা প্রকাশ্যে বলেননি বার। এ নিয়েও সে সময় বারের সমালোচনা করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পকে দেয়া পদত্যাগপত্রে বার বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ সংক্রান্ত ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিসের পর্যালোচনার সর্বশেষ তথ্য প্রেসিডেন্টকে জানানোর সুযোগ পেয়ে তিনি কৃতজ্ঞ।