পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরতে কোনো ধরনের পূর্বশর্ত মেনে নেবে না ইরান। পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বা আঞ্চলিক কর্মকাণ্ডের বিষয়েও আলোচনায় অংশ নেবে না দেশটি। স্থানীয় সময় সোমবার রাজধানী তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এসব কথা জানান।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট ও ইউরোপের শক্তিশালী দেশগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, ইরানের সঙ্গে সম্পাদিত পারমাণবিক চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকতে চায় তারা।
জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামের ওই চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে একতরফাভাবে বেরিয়ে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
দেশগুলো জানায়, বিতর্কিত ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিষয়ে ইরান আলোচনা করবে বলে আশা তাদের। মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করতে এ কর্মসূচি ভূমিকা রাখছে বলে ধারণা পশ্চিমাদের।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরে ফেব্রুয়ারির পর সোমবার প্রথম সংবাদ সম্মেলন করেন রুহানি। এতে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী জো বাইডেন এবং ইউরোপের দেশগুলোর আলোচনার আহ্বান নাকচ করেন রুহানি।
তিনি বলেন, ‘আমরা কারও কাছ থেকে কোনো পূর্বশর্ত মানব না। পারমাণবিক চুক্তি জেসিপিওএ আলোচনাযোগ্য নয় বা আলোচনার টেবিলে বসে এর অংশ ধরে ধরে কথা বলারও কিছু নেই।
‘জেসিপিওএতে যা যা বলা আছে, স্বাক্ষরকারী সব দেশকে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। সবাই করলে আমরাও করব।’
২০১৫ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ছয় বিশ্বশক্তি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি ও রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করে ইরান।