তুরস্ক তাদের একটি বাণিজ্যিক জাহাজে তল্লাশি করার প্রতিবাদ জানাতে আঙ্কারায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), জার্মানি ও ইতালির রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ প্রতিবাদী পদক্ষেপ নেয়। এর আগে দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়, পূর্ব ভূমধ্যসাগরে লিবিয়া অভিমুখী তুরস্কের বাণিজ্যিক জাহাজ ‘রোজেলিনে’ অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে এটিতে তল্লাশি চালিয়েছে জার্মান নৌবাহিনীর সদস্যরা।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বলেছে, গত ২২ নভেম্বর গ্রিসের পেলোপোনিস উপত্যকার কাছে ‘রোজেলিন’ জাহাজে যে তল্লাশি চালানো হয়েছে তা আন্তর্জাতিক আইনের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। কারণ আন্তর্জাতিক জলসীমায় এ ধরনের তল্লাশি চালানোর কোনো অধিকার কারও নেই।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হামিদ আকসাভি বলেন, জার্মান নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘হামবুর্গ’ থেকে দেশটির নৌসেনারা ‘রোজেলিনে’ অনুপ্রবেশ করেন এবং এটির ক্যাপ্টেনসহ সব নাবিককে অস্ত্রের মুখে বন্দি করে রাখেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তুরস্ক সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে অভিযোগ জানানো হলে তল্লাশি অভিযান অসমাপ্ত রেখেই জার্মান নৌসেনারা জাহাজটি ত্যাগ করে চলে যায়।
তবে এ বিষয়ে জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, দেশটির নৌবাহিনী ইইউর পক্ষ থেকে নিযুক্ত ‘আইরিনি’ বাহিনীর হয়ে ভূমধ্যসাগরে টহল দিচ্ছিল। গৃহযুদ্ধ-কবলিত লিবিয়ায় অবৈধ অস্ত্রের চালান প্রতিহত করার জন্য ‘আইরিনি’ বাহিনী গঠিত হয়েছে। তুরস্কের জাহাজে অস্ত্র আছে সন্দেহ হওয়ায় এটিতে তল্লাশি চালাতে যায় নৌসেনারা।
কিন্তু জাহাজের নাবিকদের বাধার মুখে তাদের দায়িত্ব অসমাপ্ত রেখেই সেটি থেকে সেনারা নেমে যায় বলে দাবি করে জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
আঙ্কারা সূত্র বলছে, ‘রোজেলিন’ জাহাজে করে লিবিয়ায় খাদ্যসামগ্রী ও রঙ পরিবহন করা হচ্ছিল।
অবশ্য তুরস্ক লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। সেখানে ত্রিপোলিভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃত সরকারের পক্ষে সামরিক বাহিনী পাঠিয়েছে তুরস্ক। ওই সরকারের বিরুদ্ধে লড়ছে স্বঘোষিত কমান্ডার জেনারেল খলিফা হাফতারের অনুগত বাহিনী।