লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় শহীদুন্নবী জুয়েল নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। শনিবার (৭ নভেম্বর) রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
রোববার (৮ নভেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতাররা হলেন- পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের হাসানুর রহমান (২৫), আব্দুর রহিম (২২), সোহেল রানা (২০) ও মাইনুল ইসলাম (২৬)।
এ ঘটনায় দায়ের হওয়া পৃথক তিনটি মামলায় এখন পর্যন্ত ২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার ৯ আসামির তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এ দিকে ঢাকায় গ্রেফতার হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবুল হোসেনকে (৪৫) পাটগ্রাম থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পাটগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন্ত কুমার মোহন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রধান আসামিকে আগামীকাল সোমবার (৯ নভেম্বর) আদালতে নিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
এদিকে শনিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তিনদিনের রিমান্ড শেষে মসজিদের খাদেমসহ দুইজন আমলি আদালত ৩-এর বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফেরদৌসী বেগমের আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এছাড়াও রিমান্ড ছাড়াই জবানবন্দি দিয়েছেন আব্দুল গণি নামে একজন।
নিহত শহীদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রিপাড়া এলাকার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। গত বছর চাকরিচ্যুত হওয়ার পর তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজারের বাসকল এলাকায় শহীদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।