আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দুই প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেন তাদের সর্বশেষ চূড়ান্ত বির্তকে করোনা ভাইরাস, ভ্যাট, জাতীয় নিরাপত্তা এবং কৃষ্ণাঙ্গসহ নানা ইস্যু তুলে একে অপরের সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়ালেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় (২২ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যা বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে টেনেসি অঙ্গরাজ্যের নাশভিলের বেলমন্ট ইউনিভার্সিটিতে চূড়ান্ত বিতর্কে মুখোমুখি হন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন।
বাইডেন বলেন, দেশের দুই লাখ মানুষের মৃত্যুর দায়িত্ব যিনি নিতে পারেন না তার দেশের প্রেসিডেন্ট থাকার অধিকার নেই। ট্রাম্পের কারণেই যুক্তরাষ্ট্রে এত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি মহামারি মোকাবিলা নিজের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার তুলে ধরেন বাইডেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, তিনি আবার লকডাউনের পক্ষে নন। লকডাউন নয় ভাইরাসকে বন্ধ করতে হবে। করোনাভাইরাসকে নিয়েই মার্কিনরা বাঁচতে শিখেছে বলে দাবি করেন ট্রাম্প। দেশের অর্থনীতি ধসিয়ে সাধারণ মানুষকে পথে বসাতে চান না।
বিতর্কে জো বাইডেন ট্রাম্পকে বর্ণবাদী হিসেবে অভিযুক্ত করলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, আমেরিকার ইতিহাসে আব্রাহাম লিঙ্কনের পর কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য তার মতো এত বেশি কাজ আর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট করেননি।
বিতর্কে আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতি নিয়েও আলোচনা হয়। ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো। এ সময় বাইডেন বলেন, তিনি শুধু ছবি তোলার জন্য কিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না বরং কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার পূর্বশর্ত দিয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে।
চীনে ট্রাম্পের ব্যবসা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাইডেন। ট্রাম্পের কর পরিশোধ না করার সমালোচনা করেন বাইডেন। জবাবে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি লাখ লাখ মার্কিন ডলার কর আগেই পরিশোধ করেছেন। আগের অবস্থানে অনড় থেকে ট্রাম্প বলেন, তিনি আইআরএস অডিট করার পর ট্যাক্স রিটার্ন প্রকাশ করবেন।
বিতর্কের একপর্যায়ে ইউক্রেনে বাইডেনের ছেলের ব্যবসা নিয়ে অভিযোগ করেন ট্রাম্প। বাইডেন বলেন, এ বিতর্ক ট্রাম্প বা তার পরিবারের নয়। এ বিতর্ক আমেরিকার জনগণের স্বার্থ নিয়ে।
জো বাইডেন ওবামা কেয়ারকে শক্তিশালী করে ওষুধের মূল্য কমানো ও জনগণের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করার পরিকল্পনার কথা বলেন। ট্রাম্প জানান, তিনি আইন করে ওবামা কেয়ারের বিতর্কিত বিষয় বাতিল করতে পেরেছেন। ওবামা কেয়ার বাতিল করে আরেকটি ভালো স্বাস্থ্যসেবা আইন চালু করার পরিকল্পনার কথা জানান ট্রাম্প।
আগামী ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে এটিই চূড়ান্ত বিতর্ক। এরইমধ্যে চার কোটির বেশি ভোটার আগাম তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।