প্রায় ১০ মাস আন্তর্জাতিক খেলা নেই জাতীয় ফুটবল দলের। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব স্থগিত করে ফিফা।
নভেম্বরে নেপালের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরতে মরিয়া বাংলাদেশ দলের কোচ জেমি ডে। জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদের কাছে ওই দুই ম্যাচে ফলাফলের চেয়ে মাঠে ফুটবল ফেরাটাই এখন মুখ্য। বুধবার ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে’র সঙ্গে ব্যবস্থাপনা কমিটির কর্মকর্তাদের কথায় তা স্পষ্ট।
আগামী ১৩ ও ১৭ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে ঢাকায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দুটি প্রীতি ম্যাচের জন্য নেপালের কাছ থেকে লিখিত সম্মতি পেয়ে ৩৬ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ।
গত আগস্টে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দলটিকেই রাখা হয়েছে এই দুটি ম্যাচের জন্য। মূল দল গঠন করবেন কোচ। ২৮ অক্টোবর ইংল্যান্ড থেকে তার ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। ডেনমার্কে অবস্থানরত জামাল ভূঁইয়া ২৯ অক্টোবর এবং ফিনল্যান্ড থেকে তারেক কাজী ২৮ অক্টোবর ঢাকা আসবেন। কোভিড-১৯ টেস্টের মধ্য দিয়ে শুক্রবার শুরু হবে জাতীয় দলের প্রস্তুতি। পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু হবে কোচ আসার পর। ২৮ অক্টোবর ঢাকায় এলেও কোয়ারেন্টিন শেষে ম্যাচের সপ্তাহ দুয়েকের বেশি সময় পাবেন না জেমি।
এ নিয়ে তার আক্ষেপ থাকলেও দ্রুত মাঠে ফেরাটাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন ব্রিটিশ কোচ।
জাতীয় দল নিয়ে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে জেমি ডে বলেন, ‘দলকে প্রস্তুত করতে দুই সপ্তাহ খুবই অল্প সময়। ম্যাচের আগে আমাদের কমপক্ষে আট সপ্তাহ দরকার ছিল। যেহেতু সময় কম, তাই আমাদের সেভাবেই প্রস্তুত হতে হবে। তবে প্রীতি ম্যাচের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ফুটবল ফিরছে, এটাই বড় বিষয়।’
জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘নেপালও দুই সপ্তাহের প্রস্তুতিতে ম্যাচ খেলবে, আমরাও তাই। সুতারং প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলার চেয়ে ফুটবল আয়োজনই এখন আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই ঘোষণা দিতে পেরে আমি খুশি যে আমরা ম্যাচ খেলব।’ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রত্যাশা নিয়ে বাফুফের এই সহ-সভাপতি বলেন, ‘ফুটবল একার খেলা নয়, পুরো দলের খেলা। আমরা জেতার জন্য খেলব। তবে জয়ই মুখ্য নয়। মাঠে ফুটবল ফিরিয়ে আনাটাই বড় বিষয়।’
এবারও খেলোয়াড়দের আগে-পরে মিলিয়ে একাধিবার করোনা পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। খেলোয়াড়দের যতদূর সম্ভব বিচ্ছিন্ন করে রাখারও (আইসোলেটেড) চিন্তাভাবনার কথা জানিয়ে জাতীয় টিমস কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘কোভিড টেস্ট করে ক্যাম্পে আসবে সবাই। আসার পরও দুই-তিনবার পরীক্ষা হবে তাদের। নেপাল দলেরও একই অবস্থা হবে। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় আরও নির্দেশনা পাওয়া যাবে।’