সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর এবার ইসরায়েলের সঙ্গে ‘শান্তি চুক্তি’ স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে বাহরাইন।
শুক্রবার টুইটারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, এবার উপসাগরীয় আরেক দেশ বাহরাইনও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয়েছে। খবর বিবিসির
টুইটারে তিনি জানান, ৩০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় একটি আরব দেশও ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি স্থাপন করল।
দশকের পর দশক ধরে আরব দেশগুলো ইসরায়েলকে বয়কট করে আসছিল। এর ব্যতিক্রম ঘটিয়ে গত মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয়। এবার বাহরাইনও একই পথ ধরল।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন বিরোধ নিষ্পত্তিতে জানুয়ারিতে ট্রাম্প ‘মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা’ হাজির করেছিলেন। ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সমঝোতায়ও তিনিই মধ্যস্থতা করেছেন।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে উপনীত হচ্ছে ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প জানিয়েছেন, এখন বাহরাইনও একই অনুষ্ঠানে অংশ নেবে।
১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত মিশর, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত আর বাহরাইন-মধ্যপ্রাচ্যের এ চারটি দেশের স্বীকৃতি পেল ইসরায়েল।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, আরেকটি আরব দেশের সঙ্গে ‘শান্তি চুক্তিতে’ পৌঁছাতে পেরে তিনি উৎফুল্ল।
বাহরাইনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছ সংযুক্ত আরব আমিরাত। এদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাহরাইন থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস বলেছে, বাহরাইনের এই পদক্ষেপে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ ক্ষতি হল।
বাহরাইন-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণাকে ফিলিস্তিনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন ইরান পার্লামেন্টের স্পিকারের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ পরামর্শদাতা হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিন।