নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে মামলায় হয়রানির অভিযোগ তুলে এ থেকে স্পিকারের কাছে প্রতিকার চেয়েছেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। তবে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, বিচারাধীন বিষয়ে তার কিছুই করণীয় নেই।
বুধবার সংসদের বৈঠকে ২৭৪ বিধিতে (ব্যক্তিগত কৈফিয়ত) দাঁড়িয়ে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে মামলার বিষয়ে কথা বলেন হারুন। এ সময় বৈঠকের সভাপতিত্ব করছিলেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। তারও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিএনপির এই এমপি।
হারুনুর রশীদ বলেন, ২০১৯ সালের এপ্রিলে তিনি, তার বড় বোন ও ভগ্নিপতিকে আসামি করে আদালতে একটি জাল-জালিয়াতির মামলা হয়। দীর্ঘদিন যাবৎ ওভাবেই পড়ে থাকে। গত মঙ্গলবার তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিআইডির একজন উপপরিদর্শক ফোনে জানান, মামলাটি সিআইডিতে নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে হারুনুর রশীদ বলেন, আদালত থানাকে দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু গত ১৮ মাসে এর কোনো অগ্রগতি হয়নি। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ও উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা। সেখানকার পুলিশ সুপার, জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি।
ফজলে রাব্বী মিয়া এ পর্যায়ে হারুনুর রশীদকে থামানোর চেষ্টা করেন এবং বলেন-এটি আদালতে বিচারাধীন। তাই সংসদে আলোচনা করা সম্ভব নয়। জবাবে হারুন বলেন, ‘এটি বিচারে যায়নি। তদন্তাধীন আছে। আমার দুঃখটা শুনবেন না আপনি?’
এরপর হারুন বলেন, গত রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে লিখিতভাবে তিনি জানিয়েছেন। যে বিষয়ে তিনি অপরাধী নয়, কেন আদালতে হাজিরা দিতে হবে। এই বিষয়ে স্পিকারের কাছে প্রতিকার চান তিনি। এমনকি যে কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন দিতে দেরি করেছেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন। এ ছাড়া শুল্কমুক্ত গাড়ি হস্তান্তর সংক্রান্ত বিষয়ে এক-এগারোর সময় করা এক মামলার বিষয়েও তিনি প্রতিকার চেয়েছেন।