আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকেল ৩টায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দেশের ৪৯তম এবং তার নিজের দ্বিতীয় বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন। আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের আকার হতে পারে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা।
জাতীয় সংসদের স্পিকার শারমীন শিরিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট উপস্থাপনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সীমিত আকারে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য এবং সংসদ সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। রীতি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদও এ সময় জাতীয় সংসদে তার অফিস কক্ষে থাকবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে দুপুর ১২টায় মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক হবে। সেখানে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন দেওয়া হবে। পরে সংসদে উপস্থাপনের জন্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নেওয়া হবে। বিকেল ৩টায় অর্থমন্ত্রী নতুন বাজেট উপস্থাপন করবেন।
প্রস্তাবিত বাজেটের এ আকার চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। টাকার অংকে যা ৬৬ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা বেশি। চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হলেও পরবর্তীতে সংশোধিত বাজেটে এর আকার দাঁড়ায় ৫ লাখ ১ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা।
নতুন এ বাজেটের আকার চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের মতো জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ।
বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৩ লাখ ৩০ হাজার ৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া কর বহিখাত অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪৮ হাজার কোটি টাকা। মোট ঘাটতির পরিমাণ ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬ শতাংশ।
জানা গেছে, আগামী বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয়বাবদ খরচ ধরা হচ্ছে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে বেতন-ভাতাবাবদ ব্যয় রাখা হচ্ছে ৬৫ হাজার কোটি টাকা। সরবরাহ ও সেবা বাবদ ব্যয়ে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদ রাখা হচ্ছে ৬৩ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা। সরকারি প্রণোদনা, ভর্তুকি ও অনুদান বাবদ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ থাকছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।