বগুড়ায় নতুন করে ১২ পুলিশ সদস্যসহ মোট ১৪জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন শনিবার রাত ১০টায় এ তথ্য জানিয়ে বলেন, আক্রান্ত অপর দুজনের মধ্যে ঢাকা ফেরত একজন নার্স এবং গাড়িচালক রয়েছেন। তিনি বলেন, ওই ১৪জনসহ বগুড়ায় এ পর্যন্ত মোট ৭৫জন কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ২৩জনই পুলিশ সদস্য।
বগুড়া সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে এ জেলার মোট ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। জেলায় করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে শনিবার পর্যন্ত ১১জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। চিকিৎসাধীন অন্য রোগীদের মধ্যে ১০জন বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকিরা নিজ নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, যে ১২ পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা সবাই পুলিশ লাইন্সে কর্মরত। তাদের বয়স ২০ থেকে ৫৬ বছর। ইতিপূর্বে সেখানে আক্রান্ত অন্য সদস্যদের সংস্পর্শে গিয়ে নতুন করে তারা আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে দুই জন সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তা। এছাড়া সমসংখ্যক অ্যাসিসটেন্ট সাব ইন্সপেক্টর এবং একজন নায়েকসহ আরও ৭ জন কনস্টেবল রয়েছেন। গত ১৩ মে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
অন্য দুজনের মধ্যে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সদ্য যোগদান করা ২৬ বছর বয়সী এক নার্স রয়েছেন। বগুড়া সদরের নুনগোলা এলাকার বাসিন্দা ওই নার্স গত ৭ মে ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন এবং ১৩ মে কর্মস্থলে যোগদান করেন। ১৪ মে তার নমুনা নেওয়া হয়। তার মতই ঢাকাফেরত বগুড়া সদরের গোকুল এলাকার এক ড্রাইভারের শরীরেও করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। ৩৬ বছর বয়সী ওই ড্রাইভার ১৩ মে ঢাকা থেকে বাড়ি আসার পরদিন তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, আক্রান্তদের মধ্যে পুলিশের ১২ সদস্যকে পুলিশ লাইন্সে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে। এছাড়া বাকি দুজনকেও তাদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করা হবে।