এম আর দিপু: আমাদের দেশে এক সময়ের জনপ্রিয় খেলা ছিল ফুটবল। আবাহনী আর মহামেডানের খেলা যখন ঢাকা স্টেডিয়ামে শুরু হতো তখন ব্লাকেও টিকেট পাওয়া যেত না। কায়সার আর সালাউদ্দিন ছিলেন এদেশের ফুটবল তারকাদের মধ্যে জনপ্রিয় খেলোয়ার। বিটিভি হতে টেলিভিশনে খেলা সরাসরি সম্পচার হতো কিন্তু সে সময় টেলিভিশনের সংখ্যাও কমছিল তবে জনগণ খেলা দেখতে দুরদরান্তে চলে যেত কোথায় টেলিভিশন আছে। এমনকি বিশ্বকাপ খেলা শুরু হলেই সারাদেশের মানুষ খেলা দেখার জন্য প্রতিক্ষায় প্রহর গুনতো কখন দেখা যাবে মেরাডোনা কিংবা রোলানদোকে। আর্জেনটিনা গোল করলে লাখো জনতার ধ্বনিতে কম্পিত হতো আকাশ বাতাস।
আজ সেই ফুটবল খেলা হারাতে বসেছে কিন্তু কেন? অনেক প্রশ্নই এখন খুজে পাওয়া যাবে না তবে সম্প্রতি নাঃগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার ও সোনারগাঁ আসনের সাংসদ যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এতে যুব সমাজ ফুটবল খেলার প্রতি মনোযোগী হবে এবং বিভিন্ন জেলা ও থানায় এই ফুটবল খেলার হিরিক পরে যাবে এমনটাই ধারনা করা যাচ্ছে। বিজ্ঞরা মনে করেন যুব সমাজ খেলার প্রতি আকৃষ্ট হলে তারা খারাপ পথ হতে বিরত থাকবে এতে সন্ত্রাস ইভটিজিং,মাদক ও জঙ্গীবাদ অনেকটাই হৃাস পাবে। সচেতন মহল বলছেন পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ একজন সুযোগ্য পুলিশ অফিসার সেই সাথে বিজ্ঞও বটে, এই ঘুনে ধরা সমাজ থেকে তথা ধ্বংস হয়ে যাওয়া যুব সমাজকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করতেই এই আয়োজন সেই সাথে সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা তিনি সম্মতিতে সামিল হয়ে আরো বেগবান করেছেন এই উদ্যোগকে এতে সমাজের নষ্ট হয়ে যাওয়া যুব সমাজ খেলার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে নিজেকে রক্ষা করবে।
মাদকের ভয়াল ছোবলে প্রতিনিয়ত যুব সমাজ ধ্বংসের পথে এর থেকে পরিত্রান পেতে হলে তাদেরকে খেলার মধ্যে ব্যস্ত রাখতে হবে তাহলেই দেশে শান্তি বিরাজ করবে এবং কমে আসবে সন্ত্রাস খুন রাহাজানি ও মাদক। মাদকমুক্ত দেশ গড়তে বাংলাদেশ সরকার একযোগে কাজ করে যাচ্ছে এবং সারাদেশের পুলিশ প্রশাসন সরকারের এহেন উদ্যোগে দায়িত্বতার সাথে কর্তব্য পালন করছেন। পুলিশ ও জনপ্রতিনিধি মাদক নির্মূলে একে অপরের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করলে হয়তো অতিদ্রুত প্রতিটি জেলা হতে মাদক ব্যবসায়ীরা বিদায় নিবে চিরতরে।