পেঁয়াজের ওপর সরকারের শুল্ক বাড়ানোর পরের দিনেই পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১১ থেকে ১২ টাকা বেড়েছে। এভাবে দাম বাড়ায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে পাইকারদের। এ দিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রভাবে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
রোববার (২ জানুয়ারি) বিকেলে হিলি স্থলবন্দরে সরেজমিনে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের মতো আজও বন্দরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বোঝায় ট্রাক। তবে অন্যদিনের তুলনায় পেঁয়াজের পাইকার অনেকটাই বেড়েছে। প্রতিটি ট্রাকের ওপরে পাইকাররা ব্যস্ত পেঁয়াজ দেখতে এবং দাম করতে। তবে পেঁয়াজ পছন্দ হলেও দামের সঙ্গে মিলছে না। কারণ পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১১ টাকা থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত। তাও আবার দুই দিনের ব্যবধানে। কারণ সরকার আমদানিকৃত পেঁয়াজের শুল্ক (ডিউটি) বাড়িয়েছে।
বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা সেলিম বলেছেন, প্রতিদিন হিলিবন্দর থেকে দুই থেকে চার গাড়ি পেঁয়াজ কিনে থাকি। আজও পেঁয়াজ কিনব বলে বন্দরে এসেছি কিন্তু দাম যেভাবে চাচ্ছে তাতে কীভাবে কিনব, তা ভেবে পাচ্ছি না। গত বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) নাসিক পেঁয়াজ কিনেছিলাম ৩২ টাকা কেজিতে কিন্তু আজ সেই নাসিক পেঁয়াজের দাম চাচ্ছে ৪০ টাকা। ইন্দ্র পেঁয়াজ ছিল ২৪ টাকা থেকে ২৬ টাকা, তা বেড়ে চাচ্ছে ৩৮ টাকা। তাহলে কীভাবে কিনব?
আরও পড়ুন: আইপি বন্ধের পর এবার বাড়ল পেঁয়াজের ডিউটি
এ বিষয়ে দুইজন পাইকার বলেছেন, সরকার পেঁয়াজের ডিউটি (শুল্ক) বাড়াল ১ হাজার কেজিতে ১ হাজার ৩৩১ টাকা। তাহলে প্রতি কেজিতে ১ টাকা ৩১ পয়সা বাড়ার কথা। অথচ বন্দরে আমদানিকারকরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা থেকে ১২ টাকার মতো। তাই ভাবছি কীভাবে কিনব আর কীভাবে বিক্রি করব।
তবে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা বলেন, ভারতের মোকামগুলোতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আমরা নাসিক ও ইন্দ্র জাতের পেঁয়াজ আমদানি করেছি। এগুলো এসেছে ভারতের মধ্য প্রদেশ থেকে। এর দূরত্ব হিলি বন্দর থেকে ২ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। ট্রাক ভাড়া এক থেকে দেড় লাখ রুপি। তাছাড়া ভারতে ভালো মানের পেঁয়াজ গাছ ছাড়া দামও বেশি। যার কারণে দাম বেড়েছে পেঁয়াজের।