যারা হলুদ সাংবাদিকতায় রোগাক্রান্ত , তারা দয়া করে নিজ দায়িত্বে বিশ্রাম গ্রহন করুন । হলুদ ব্যধি নিয়ে সমাজ, সংবাদের স্বচ্ছতায় না জড়ানোই ভালো । এতে করে আপনাদের কর্মকান্ডে নজর পড়লে বহু মানুষের ঝকঝকে অন্তরদৃষ্টি দিধা-দ্বন্দের ঘোলাটে চশমায় সব ঝাপসা দেখতে পায় ! আপনাদের হলুদ ছোয়াঁয় সবুজে হলুদ ব্যাধি ছড়িয়ে যাচ্ছে খবরে খবরে । তাই বলছি , কোন দরকার নেই অর্থে কাতর, লোভের মুমূর্ষ অবস্থানে স্বার্থের সুবিধা সজ্জায় শয্যাসায়ী অসৎ মানসিকতা সম্পন্ন আপনাদের মতো সাংবাদিকদের । কোন অধিকার নেই “সত্যের সৈনিক” এই কথার অমর্যাদা করার ! “কলম যোদ্ধা” এই শব্দটা অনেক সম্মানের , কারো পৈত্রিক সূত্রের ওয়ারিশ না । রাস্তা-ঘাটে , ঘরে-বাইরে সনদহীন, শিক্ষাহীন স্বিকৃতীহীন নির্ভীক, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া সাংবাদিকদের এখন আর অভাব নেই । যারা আপনাদেরও আগে অনেক সত্য জানে । যাদের কাছ থেকে সঠিক তথ্যে পেয়েও আপনারা তাতে হলুদ রঙে রাঙিয়ে সঠিক তথ্যকে অকথ্য করে তোলেন ! দেশে হাজার হাজার মানবিক , বিবেচক চোখ-কান এখন নিস্বার্থ সনদহীন এই কাজে নিয়োজিত ।
সাধারণ মানুষ কম কিছু জানে না । তাদের সহযোগিতা ছাড়া আপনারা কিছুই না , তাহলে কেনো এই সাধারণ মানুষকে অন্ধকারে রেখে , তাদের কাছে ভুল , মিথ্যা , ভূয়া অপসংবাদ পৌছে দেবার প্রচেষ্টা ?
ঘটনা-দূর্ঘটনা গুলো সচক্ষে দেখে অপেশাদার সাংবাদিকেরা । কোটি কোটি জনসাধারণের কাছে সত্য পৌছাবে এই আশায় আপনাদের দারস্ত হয়, বার্তা পাঠায় । আপনারা জড়িত হয়ে টাকায় বিক্রি হয়ে তখন সাদা’কে কলঙ্কিত করেন কালো টাকার নোংড়া কাদায় !!
শুধু মাত্র আপনারা বিক্রি হয়ে যান বলেই পচা-ডোবার , নালা-নর্দমায় বিবেক-চরিত্রে পচেমরা দূর্গন্ধযুক্ত মানুষরুপের জানোয়ারগুলো মিথ্যে সুগন্ধ মেখে হাসে আর ফুলের মতো জীবনগুলো মিথ্যা অপবাদে যায় ফেসে ।
আপনারা আপনাদের সাংবাদিকতার শিক্ষা সনদ, সত্যনিষ্ঠ পেশাদারি ব্যক্তিত্ব বিকিয়ে দিয়েছেন টাকার কাছে ।
সনদহীন সাধারণ মানুষের বিবেক,বিবেচনা , মানবতার চোখ কিন্তু বন্ধ নেই , কোথাও কোন কারণে বিক্রিও হয় না । মাঝে মাঝে হলুদ সাংবাদিকদের সংবাদ প্রচার দেখে লজ্জায়, ঘৃণায় অপারগতায় ক্লান্তিতে চোখ দু’টো শুধু বন্ধ হয়ে আসে, দু’চোখ বন্ধ করে রাখে ।

……মাহ্জাবীন আহমেদ