সোমবার (২০ মে) থেকে হজ ফ্লাইটের টিকিট বিক্রির এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিমানের জনসংযোগ বিভাগ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
তথ্যমতে, চলতি বছর হজে যাবেন এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্যে ৬৩ হাজার ৫৯৯ জনকে পরিবহন করবে বিমান।
এ বছরই প্রথম ঢাকা থেকে মদীনায় ১১টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দায় ১০টি, সিলেট থেকে জেদ্দায় ৩টি, চট্টগ্রাম থেকে মদীনা ৭টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। বাকি ১২৬টি ফ্লাইট ঢাকা থেকে জেদ্দায় নিয়ে যাবে হজযাত্রীদের।
এবারই প্রথমবারের মতো ঢাকায় ইমিগ্রেশন করা হবে হজযাত্রীদের। ফলে সৌদি আরবে গিয়ে ইমিগ্রেশনের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না তাদের। তবে এ কারণে ফ্লাইটের একদিন আগেই হজযাত্রীদের তথ্য সৌদি আরবে পাঠাতে হবে। ওই সময়ের পর ফ্লাইটে নতুন করে যাত্রী নেওয়া যাবে না। এ কারণে হজ এজেন্ট ও যাত্রীদের তাদের ফ্লাইট যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা আগেই যাত্রার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
জানা যায়, নির্ধারিত শিডিউলের বাইরে অতিরিক্ত স্লট দেবে না সৌদি সরকার। জটিলতা এড়াতে এ বছর কোনো যাত্রী হজ ফ্লাইটের যাত্রা বাতিল করলে বা সময় পরিবর্তন করলে জরিমানা আদায় করবে বিমান। যাত্রা বাতিলের ক্ষেত্রে ৩৫০ ইউএস ডলার ও যাত্রা তারিখ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সময় ভেদে ২শ থেকে ৩শ ডলার দিতে হবে।
সুষ্ঠুভাবে হজ ফ্লাইট পরিচালনা করতে বিমানের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। হজ এজেন্সি ও হজযাত্রীরা যথাসময়ে ফ্লাইটের টিকিট সংগ্রহ করলে কোনো ধরনের জটিলতা হবে না বলেও জানানো হয়।