ভাবিনি কখনো তুমি আসবে আমার জীবনে,
এলে যেন আচমকা দমকা হাওয়া হয়ে পড়লে আছাড়ে আমার ভুবনে।
ভালবাসায় কৃষ্ণ চুড়ার লালে রাঙ্গিয়ে দিলে অজানা এক খুশীতে।
স্বর্গের পাখি হামিং বার্ড হয়ে হেসে খেলে চিরদিন যাব উভয়ে।
না চাইতেই সুখের বজ্রপাত এ কোন পবনে !
আচমকা ঝাপটায় তড়িৎ গতিতে বদলে দিলে সব,
জীবনের মোর যত আঘাত।
অন্তর ছিল যে হাহাকার আর জ্বলে উঠা অন্তরের বারুদের সংলাপ ।
ভেবেছিনু শেষ হবে না তার কোন দিন এই বিলাপ।
যখন সময় থমকে দাঁড়ায় একে একে সব স্বপ্নপথ হারায়।
নিরাশায় অন্ধকারে খুঁজে নাহি পায় নিজেকে।
ক্ষুদ্র খর খুটো হাত বারিয়ে পায় ব্যর্থতার সংলাপ ।
আর ঠিক তখনই তোমার ভালবাসার রংএর আলপনা দিয়ে গড়ে তুললে হামিং বার্ড।
এক ঝুড়ি স্বপ্ন দিয়ে রঙিন মকমলে আমায় স্বর্গসুখে দিলে ঢাকি।
তোমাকে চাওয়া এ যেন মোর কাঙ্খিত পাওয়া ।
আমার এ দীর্ঘ দিনের আকুলতা কভু দিও নাকো ফাঁকি,
আকাশের নীল রং সূর্যের ক্ষরতাপে যেভাবে বিদীর্ণ হয়ে পরে,
কভু হারিয়ে ফেলোনা সেই ভাবে স্মৃতির অতলে মোরে,
ঝড়ে ঝড়ে বাহিরে বৃষ্টির রিম ঝিম শব্দে গাই সেই গান সুরে সুরে মোর হৃদয়ের স্পন্দনে।
ঠিক তখনি তোমার আলিঙ্গনে নেচে উঠে এই তনু মন।
শুভ্র সুন্দর শিউলি ফোটা ভোরে ,চলবো দুজনে ভালবাসা বুকে নিয়ে সেই পথ ধরে।
শাপলা শালুক আর লাল দীঘি শিশির ভেজা ঘাসের ধারে ।
কলার ভেলায় হারাবো আজ ভালবেসে দুজনে গানের সুরে খোঁপায় দিয়ে গুচ্ছ কদম ফুল ।
আজ এতো বছর পর আচমকা বেদনার বাঁশি বাজে অভিমানে তোমারে নিয়ে হয়নি মোর সেই স্বপ্নের গৃহখানি ।
শুধু স্বপ্নেই বুনেছিনু রাশি রাশি জাল এই পথে।
হবে নাকো দেখা আর বলেছিলে ক্ষমা করো আমায় এই জীবনের পথে।
মোরে ছেড়ে চলে যদি যাবে যাও,বিষন্ন ব্যথা বুকে নিয়ে এই আমি তাও।
দিব নাকো বাঁধা যেথা তুমি সুখ খুঁজে পাও।
যত দিন রইবে আমার এ দেহে প্রান,
বাজিবে মোর প্রানে বসন্তের গান।
ভোরের স্নিগ্ধতার মত রইবে তোমার জ্যাতি ঝিনুকের বুকে অতি স্বযত্নে লালন হয় যেভাবে মতি ।