সরিষার হলুদ ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে শস্য ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত উত্তরের জনপদ দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার আবাদী জমি, মাঠ-প্রান্তর। পৌষের হিমেল বাতাসে দোল খাচ্ছে সরিষা ফুল আর গুঞ্জন তুলে এই ফুলের রাজ্যে উড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছির দল। বাম্পার ফলনের হাতছানিতে কৃষকের চোখেমুখে ফুটে উঠেছে প্রত্যাশা-প্রাপ্তির মেলবন্ধনের হাসি। লাভজনক অবস্থানে চলতি মৌসুমে হাকিমপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়নে ৮২৫ হেক্টর জমিতে উন্নত জাতের সরিষা চাষ হয়েছে। গত বছর স্থানীয় বাজারে উন্নত জাতের সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা এবারও সরিষা চাষে চাষিদের আগ্রহ বেশি।
কয়েকজন কৃষক জানান, আমন ধান কাটার পর জমি তৈরি করে সরিষা বীজ বোপণ করা হয়। দুই মাসের মধ্যে ফলন ঘরে তোলা যায়। এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষে খরচ হয় ১ হাজার থেকে ১২শ’ টাকা। প্রতি বিঘায় ৩ থেকে ৪ মণ সরিষা পাওয়া যায়। যা বর্তমানে প্রতিমণ সরিষার বাজার দর ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা।
ছাতনী গ্রামের কৃষক মাসুদ বলেন, আমন ধান কাটার পর পড়ে থাকা জমিতে প্রতি বছরই সরিষা চাষ করি। এবার গাছ অনেক ভালো হয়েছে। ফলনও ভালো হবে বলে আশার কথা জানান তিনি।
আলীহাট ইউনিয়নের কৃষক রোস্তম আলী বলেন, সরিষা কাটাই-মাড়াই করে সেটা বিক্রি করে দেই; সেই টাকা দিয়ে আবার বোরো ধানের আবাদ করি। বলতে গেলে এটা আমাদের একটা অতিরিক্ত ফলন।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মমতাজ সুলতানা জানান, হাকিমপুর উপজেলায় এবার সরিষার চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর এই উপজেলায় ৮২০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। সরিষা চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারিভাবে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। এবার ৩৮০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ডিএপি সার ২০ কেজি ও পটাশ ১ কেজি করে বীজ বিতরণ করা হয়েছে।যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এই রবিশস্যের চাষিরা।