সুনামগঞ্জের ছাতকে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। চলতি বোরো মৌসুমে সরকারিভাবে এখানে ৪২৯ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ইতিমধ্যে ধান সংগ্রহের জন্য তালিকা প্রস্তুতের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।
কৃষকদের অভিযোগ, অস্বচ্ছ পদ্ধতিতে প্রাথমিক পর্যায়ে যাচাই বাচাই ছাড়াই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালীদের দেওয়া তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এসব জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই ধান চালের ব্যাপারী। কৃষি অফিসের যোগসাজশে ভুয়া কৃষি কার্ড তৈরি করে তাদের পরিবারের সদস্য বা আত্মীয় স্বজনরা রাতারাতি কৃষক বনে যাচ্ছেন।এতে প্রকৃত কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এছাড়া কোনো প্রকার প্রচার প্রচারণা ছাড়াই অনেকটা গোপনে ধান সংগ্রহের কাজ শুরু করায় প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা সরকারের এই কার্যক্রমে খবর জানেন না।
সোমবার উপজেলা কৃষি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, মুক্তিরগাওঁ গ্রামের কৃষক সুনু মিয়া বিলাপ করছেন তার ধানের ন্যায্য মূল্য আদায়ের জন্য।এলাকার কৃষকরা শুরু থেকে লটারি মাধ্যমে কৃষক নির্বাচনের দাবি জানালেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানরা এসব বিষয়ে পাত্তা দিচ্ছেন না। ব্যবসায়ী জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তালিকাই চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: গুদামে নেওয়ার পথে ট্রাক বোঝাই চাউল ছিনতাই
এব্যাপারে ছাতক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খান ইত্তেফাককে জানান, ইউপি চেয়ারম্যানরা তালিকা দিয়েছেন এ গুলো যাচাই বাচাই হয়েছে, এখন আর কিছু করার নেই।
উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান জানান, সরকারীভাবে ধান সংগ্রহে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির বেশ কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছি। এসব তালিকা পুনরায় পর্যালোচনা করা হবে।