করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গতকাল সোমবার (৫ মার্চ) থেকে চালু হওয়া সাত দিনের নিষেধাজ্ঞা আরো বাড়বে কি না তা আগামী বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) জানাবে সরকার। সোমবার (৫ মার্চ) মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাস্থ্যবিধি মেনে কয়েকজন সাংবাদিকের উপস্থিতিতে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, সাত দিন পর কী অবস্থা হয় তা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রমজানে অফিস সময়সূচি জানান এবং বলেন, এখন থেকে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধারাও উৎসব ভাতা পাবেন।
রমজানের অফিস সময় : অন্যান্য বছরের মতো এবারও রমজান মাসে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অফিস সময় নির্ধারণ করা হয়েছে মন্ত্রিসভা বৈঠকে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৪ বা ১৫ এপ্রিল থেকে রমজান শুরু হবে। মন্ত্রিপরিষদসচিব জানান, রমজান মাসে দুপুর সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত জোহরের নামাজের বিরতি থাকবে। তবে ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ডাক, রেলওয়ে, হাসপাতাল ও রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা এবং অন্যান্য জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এই সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবে। এসব প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব আইন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে সময়সূচি নির্ধারণ ও অনুসরণ করবে। সুপ্রিম কোর্ট ও এর আওতাধীন সব কোর্টের সময়সূচি বিচার বিভাগ নির্ধারণ করবে।
খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা : বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যাঁরা খেতাবপ্রাপ্ত তাঁরাও উৎসব ভাতা পাবেন। বর্তমানে অন্য ক্যাটাগরির মুক্তিযোদ্ধারা উৎসব ভাতা পেলেও খেতাবপ্রাপ্তরা পান না। একই সঙ্গে খেতাবপ্রাপ্ত, যুদ্ধাহত এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে বাংলা নববর্ষের ভাতা দেওয়া হবে। এর মধ্যে জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় দিবস ভাতা হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। মন্ত্রিপরিষদসচিব জানান, বর্তমানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা (খেতাব ছাড়া) মাসিক সম্মানী ভাতার পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা হারে দুটি উৎসব ভাতা, বাংলা নববর্ষ ভাতা হিসেবে দুই হাজার টাকা এবং জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা মহান বিজয় দিবস ভাতা হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা পান। এখন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারাও এসব সুবিধা পাবেন।
গতকালের মন্ত্রিসভায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অফিস সময়সূচির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
Collected from fb ID of Sheikh Shobuj: NNC