আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম দিনেই সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কয়েকটি সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো- কয়েকটি মুসলিম দেশের ওপর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বাতিল।
জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার প্রথম দিনেই অফিসে বসে তিনি ১৫টি নির্বাহী আদেশে সই করেন।
বাইডেনের এই সিদ্ধান্তের ফলে ধারণা করা হচ্ছে- ট্রাম্প প্রশাসন যে একাধিপত্যবাদী নীতি অনুসরণ করছিল তা থেকে বাইডেন প্রশাসন বেরিয়ে আসবে।
ক্ষমতা গ্রহণের পর জো বাইডেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়কার আরো যেসব সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন তার মধ্যে রয়েছে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ প্রকল্প। ডোনাল্ড ট্রাম্প জরুরী ঘোষণার মধ্যদিয়ে এই প্রকল্পে বিপুল অংকের তহবিল বরাদ্দ দিয়েছিলেন কিন্তু জো বাইডেন তা বাতিল করলেন।
পাশাপাশি ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাসের মহামারী ও চীনের ভূমিকা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন এবং গত জুলাই মাসে এ সংস্থা থেকে তিনি আমেরিকাকে বের করে নেন। জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পরপরই ট্রাম্পের সে সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন। আমেরিকা এখন থেকে আবারো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য দেশ হিসেবে পরিচিতি পাবে।
বাইডেন এমন এক সময় আমেরিকার ক্ষমতা হাতে নিলেন যখন করোনা মহামারি আর সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতায় টালমাটাল আটলান্টিক পাড়ের দেশটি। বাইডেন প্রশাসনের পথচলা শুরু হলো এক সংকটময় মুহূর্তে। অতীতের যে কোনও সময়ের চেয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি দেশটির ভেঙ্গে পড়া অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করার দায়িত্বও নিতে হবে বাইডেনকেই। বিষয়টি অনুধাবন করেই হয়তো প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েই জো বাইডেন বলেন, ‘এখন বিভেদের সময় নয়। এখন সংকট মোকাবিলা করার সময়। এখন প্রয়োজন ঐক্যের। ঐক্য ছাড়া শান্তি আসবে না।’
ঐতিহাসিক ক্যাপিটল হিলের সামনে শপথ নিয়েই বাইডেন বলেন, ‘এই বিজয় গণতন্ত্রের বিজয়।’ যে কোনও মূল্যে মার্কিন সংবিধান, গণতন্ত্র ও মূল্যবোধ রক্ষা করবেন বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
বাইডেন আরও বলেন, ‘এটা আমেরিকার দিন, এটা গণতন্ত্রের দিন। কোনও প্রার্থীর বিজয় নয়, গণতন্ত্রের বিজয় উদযাপন করছি সবাই। যে বিজয়ে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে। চলুন একসাথে আশাবাদের ইতিহাস গড়ি। আসুন একে অপরকে শ্রদ্ধা করি আমরা। কারণ এখন বিভেদের সময় নয়, এক হয়ে করোনার মত সংকট মোকাবিলার সময়।’ -এনএনসি