বরিশালে মায়ের সঙ্গে অভিমান করে মাঝ নদীতে চলন্ত লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন ফাল্গুনী আক্তার নামে এক শিক্ষক। তাকে উদ্ধার করেছে জেলেরা। শনিবার রাতে বরিশালের চরমোনাই সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদী থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
ফাল্গুনী আক্তার ভোলার লালমোহন উপজেলার বাসিন্দা। তিনি লালমোহনে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
জানা গেছে, শনিবার রাতে এমভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চে বরিশাল থেকে মা ও খালার সঙ্গে ঢাকায় আসছিলেন ফাল্গুনী। লঞ্চ ছাড়ার ঘণ্টাখানেক পর তিনি নদীতে ঝাঁপ দেন।
সুন্দরবন-১০ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. হারুন-অর রশিদ জানান, রাত ১০টার দিকে এক বৃদ্ধা জানান তার মেয়ে নদীতে পড়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চ থামিয়ে সার্চ লাইট দিয়ে নদীতে সন্ধান চালানো হয়। একই সঙ্গে লঞ্চের মাইকে তীরের বাসিন্দা ও নদীতে থাকা জেলেদের বিষয়টি জানানো হয়। ঘণ্টাখানেক পর বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার এসআই মো. রিয়াজ জানান ওই নারীকে স্থানীয় জেলেরা জীবিত উদ্ধার করেছেন। তিনি সুস্থ আছেন।
কোতয়ালি মডেল থানার এসআই মো. রিয়াজ জানান, রাত ১১টার দিকে চরমোনাই ইউনিয়নের মক্রমপ্রতাপ গ্রামের কয়েকজন জেলে কীর্তনখোলা নদীতে মাছ ধরছিলেন। ওই সময় এক নারীকে ভাসতে দেখে তারা উদ্ধার করেন। পরে তাকে তীরে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি আরো জানান, জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে উদ্ধারের পর ওই নারী কিছুটা সময় অচেতন ছিলেন। জ্ঞান ফিরে এলে জেলেদের কাছে নিজের নাম বলেন ফাল্গুনী আক্তার। তিনি লঞ্চ থেকে পড়ে যাননি, তার মা বকাঝকা করায় অভিমানে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন।
কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম জানান, ফাল্গুনী আক্তারকে উদ্ধারের পর স্থানীয় চিকিৎসককে দেখানো হয়েছে। তিনি সুস্থ আছেন তবে ভয় পেয়েছেন। কারো সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলছেন না। জেলেদের নজরে পড়ায় সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন। তার স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা এলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।