স্মৃতির গল্পে ভীষন বিষন্নতা!
কবিতায় করোনার করুণ কান্না!
বসন্ত বিলাপ ভ্রান্ত ঝিঁঝিঁপোকা!
অশ্রু ফুল হীরা মুক্তা- মানিক ঝরে চোখের কোণে!
অকালে ফুল ঝরে..
গুন গুন গুঞ্জরি ভ্রমর কাঁদে!
অস্তিত্বের প্রয়োজনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীতা ভুলে, মুখগুলি বন্ধুুত্বের মুখোশে ঢাকে!
বুকে টেনে নেওয়ার মানুষগুলি তিন ফুট দুরত্ব গোনে!
একে একে সব চেনা নক্ষত্রের পতন ঘটে!
গাছের শিকড় থেকে পরিচয়ের মাটি সরে যায়।
স্নেহের ছায়া খোঁজে ভবঘুরে মন! ২০২০ এর করোনার সাক্ষীর স্বাক্ষর রাখি, হাজার বছরের জাতিস্মরের খাতায়।
নিয়মের নীতিতে ধ্বংস স্মৃতিতে নতুনের ডাকে, চিরহরিৎ বৃক্ষ জন্মে!
খনার বচন টিক টিক ঠিক ঠিক বাজে!
দিন পঞ্জিকা নতুন হিসেবের গণনার সন, তারিখের সময়ে সাজে!
শুকনো পাতার মর্মর সুর আর্তির আর্তনাদ করে!
তবুও মন আজ সাজে আপন মনে!
সবুজ স্বপ্নে ভরা কুসুমকলি পত্র লেখে!
ফুল ফোটে পাখি গায়..প্রকৃতি হাসে!
কোকিলের কুহু কহু নিমন্ত্রণে..কুসুম কুমারী বসন্ত সাজে!
অতীত কাঁদে অতিগোপনে..প্রিয়জন
চলে যাওয়ার শব্দে পাখিদের কান্না!
এবার স্বয়ং স্রষ্টা বলে, আর কেঁদনা তোমরা.. সব ঠিক হয়ে যাবে!
জীবন এগিয়ে যাবে জীবনের নিয়মে আগামীর পথে! সহস্র বছরের ইতিহাস কথা বলে !
বাঁচার লড়াইয়ে গন সঙ্গীত সুরে বেজে ওঠে..দুঃখ করো না বন্ধুু তোমরা সব ঠিক হয় যাবে!
যদি থাকি আমি মহাকালের সাক্ষী হয়ে!
আগামী প্রজন্মের করোনার করুণ গল্প শোনাতে..ঠাকুমার ঝুলি হাতে!
অথবা আমি ছাড়া, তুমি বা তোমরা থেকে যাবে আগমনী শোনাতে।
আমি তোমাদের হতে, আমি বহুদূরে!
না থেকেও থেকে যাব.. তোমাদের গল্পের স্মৃতিতে!