স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) শাখায় ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৫ এপ্রিল) বিএসএমএমইউর শহীদ ডা. মিলন হলে এই ইফতারের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউর উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি আমলে আওয়ামী লীগের চিকিৎসকদের নিপীড়ন করা হতো। তাদের নিপীড়নে একজন চিকিৎসক তো মৃত্যুবরণ করলেন। স্বাচিপ সেই অবস্থার মধ্যে উঠে আসা সংগঠন। স্বাচিপ একটি ঐক্যবদ্ধ সংগঠন।
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার উন্নয়ন তুলে ধরে বিএসএএমইউর উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৭৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে তলা বিহীন ঝুড়ি বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। অথচ সেই দেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন দারিদ্র বিমোচন ও উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে রোল মডেল হিসেবে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছেন।
মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন পরিশ্রম করে স্বাস্থ্যখাতকে আজকের অবস্থায় নিয়ে এসেছেন। স্বাস্থ্যখাতে আগে ৮ হাজার ৩১২ জন চিকিৎসক ছিল মাত্র। সেই সংখ্যাকে জননেত্রী শেখ হাসিনা ২৫ হাজারের বেশী চিকিৎসক ক্যাডারে উন্নীত করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা বিগত ৫ বছরে ২০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছেন। শেখ হাসিনা গত দুই বছরে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় সারা বিশ্বে ২৬তম রাষ্ট্রপ্রধান ও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম হয়েছেন। করোনার সময় শেখ হাসিনা স্বাস্থ্যখাতে ৪১ হাজার কোটি বরাদ্দ দেন। সারাবিশ্বে মাত্র ৪টি ৩ হাজার বেডের হাসপাতাল আছে। সুপার স্পেশালাইাজড চালু হলে আমাদেরটিও হবে ৩ হাজার বেডের হাসপাতাল। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে পাঁচ হাজার বেডের করার পরিকল্পনা নিয়েছেন শেখ হাসিনা।
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে স্বাধীনতাকে রক্ষা করার জন্য সবাই, স্বাস্থ্যখাতকে উন্নত করার জন্য সবাই একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনাকে বার বার ক্ষমতায় আনার জন্য কাজ করার আহ্বান জানান মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
স্বাচিপ বিএসএমএমইউ শাখার সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম জোয়াদারের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সার্জারি অনুষদের ডিন মোহাম্মদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপউপাচার্য (প্রশাসন) ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপউপাচার্য (একাডেমিক) একেএম মোশাররফ হোসেন, স্বাচিপের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব এমএ আজিজ।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন স্বাচিপ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. নীহার রঞ্জন, অধ্যাপক ডা. মোস্তফা জামান, অধ্যাপক ডা. জুহুরুল হক সাচ্চু, স্বাচিপের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ডা. বিদ্যুৎ চন্দ্র দেবনাথ, বিএসএমএমইউ শাখা স্বাচিপের যুগ্ম আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাজির উদ্দিন মোল্লা, সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুভাষ কান্তি দে, সহকারী অধ্যাপক ডা. আব্দুল আলীম, সহকারী পরিচালক ডা. মেহেজাবিন শাওলী, কনসালট্যান্ট ডা. রাজীব সাহা, মেডিক্যাল অফিসার ডা. হাসানুল হক নিপুন, ডা. জাকির হোসেন, রেসিডেন্ট ডা. মোহাম্মদ হাসান, ডা. তালহা জিনান প্রমুখ।