নিউজিল্যান্ড দলটার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো—তারা অনেকদিন ধরে একসঙ্গে খেলছে। সেইসঙ্গে ইংল্যান্ডে তারা পছন্দের কন্ডিশন পাওয়ার কথা। গতবারের ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ড দলের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন কথা বলেছেন নিজের দল এবং এবার বিশ্বকাপের ফেভারিট দলগুলোকে নিয়ে। সাক্ষাৎকারে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক এগিয়ে রেখেছেন বাংলাদেশকেও—
এবার সব দল সব দলের বিপক্ষে খেলবে। বিশ্বকাপের এইফরম্যাট নিয়ে কী আপনি সন্তুষ্ট?
উইলিয়ামসন : হ্যাঁ। এটা একেবারে শুরু থেকে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক একটা টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে। কোনো দল কোনো ম্যাচ হালকাভাবে নিতে পারবে না। ফলে যত বেশি সম্ভব ম্যাচ জিতে রাখাই এখানে বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আমার মনে হয়, এই বছর এই টুর্নামেন্টটা খুব কৌতুল উদ্দীপক হতে যাচ্ছে। আমাদের একটা কথা মনে রাখা দরকার, একটা খারাপ দিনই ভাগ্য লিখে দিতে পারে।
নিউজিল্যান্ড প্রায় সব বিশ্বকাপেই ভালো করে। কিন্তু তারাকখনো ট্রফি জেতেনি…
উইলিয়ামসন : হ্যাঁ। আমরা এই ব্যাপারটা জানি। এমন নয় যে, আমরা আমাদের সেরা চেষ্টাটা করিনি। কিন্তু ব্যাপারটা ঘটেনি। আমরা অস্ট্রেলিয়াতে গত বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছি। আমরা বাকি সবগুলো ম্যাচ খুব ভালো খেলেছি। কিন্তু ফাইনালটাই জিততে পারিনি। কে জানে, ভাগ্য হয়তো এবার আমাদের জন্য হাসবে।
একটা বিশ্বকাপ জয়ী দলের কী কী উপাদান থাকতে হয়?
উইলিয়ামসন : এর কোনো নির্দিষ্ট তত্ত্ব নেই। তবে কোনো দল যদি চ্যাম্পিয়ন হতে চায়, তাদের অন্তত চার থেকে পাঁচ জন ম্যাচ উইনার থাকতে হবে; যারা যে কোনো পরিস্থিতিতে ম্যাচ জেতাতে পারবে। এই ৪৭ দিনের লম্বা টুর্নামেন্টে কোনো দলই বলতে পারবে না যে, আমরা সব ম্যাচ জিতবো। এবার ধারাবাহিকতা ধরে রাখা খুব কঠিন হবে।
আপনার নিজের দলকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
উইলিয়ামসন : আমার মনে হয়, আমাদের দলে তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার ভালো মিশেল আছে। আমরা বেশ কয়েকজন গত কয়েক বছর ধরে একসঙ্গে খেলছি। এটা সত্যিই আমাদের একটা দল হয়ে খেলতে সহায়তা করছে। আমাদের আসলেই ভালো করা উচিত।
অনেকে বিশ্বাস করছেন, ইংল্যান্ড এবার শেষ হাসিটা হাসবে…
উইলিয়ামসন : ইংল্যান্ড তো নিজেদের মাঠে খেলবে। আর তাদের দলটাও খুব ভালো। অবশ্য এটার মানে এই নয় যে, তারা খুব সহজে জিতে যাবে। তাদের এটার জন্য লড়াই করতে হবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, কারো দল খুব ভালো হলেও তাদের অন্য দলগুলোর মতোই লড়াই করতে হবে। কোনো দলের জন্যই পথটা ফুল বেছানো হবে না।
অস্ট্রেলিয়ার ব্যাপারে কী বলবেন?
উইলিয়ামসন : তারা খুব ভালো দল। চার বছর আগে মেলবোর্নের ফাইনালে আমরা ওদের কাছে হেরে গিয়েছিলাম। ঐতিহ্যগতভাবে যে কোনো নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ দুই দেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক উত্সাহ তৈরি করে। এবারও ইংল্যান্ডে তার ব্যতিক্রম হবে না।
আর ভারত?
উইলিয়ামসন : বিরাটের এই দল বড় ট্রফি জেতার ক্ষমতা রাখে। তারা খুব ভারসাম্যপূর্ণ একটা দল। তাদের সব বিভাগেই খুব ভালো অস্ত্রশস্ত্র আছে। আমার ধারণা, ওরাও ভালো করবে। আমার মনে হয়, দুটো সেমিফাইনালে এবার কঠোর লড়াই হবে।
এই দলগুলোর বাইরে কাউকে দাবিদার মনে করেন?
উইলিয়ামসন : দেখুন, সবগুলো দলই খুব ভালো। আমি তো বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের কাছ থেকেও কঠোর লড়াই দেখতে পাচ্ছি। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও বাদ দেওয়া যাবে না। তাদের দলে সত্যিকারের কিছু পাওয়ার হিটার আছে। তাদের বিপক্ষে সবগুলো বড় দল সতর্ক থাকবে।