মহাসড়ক বিক্রি নিয়ে আলোচনার শেষ নেই,, জেনে অবাক হবেন এই মহারথী বিক্রি করে দিয়েছিলেন তাজমহল…
একবার নয়, তিন তিন বার তাজমহল বেচে দিয়েছিলেন। এছাড়াও একের পর এক ঐতিহাসিক মিনার বিক্রি করেছেন সাফল্যের সঙ্গে। তাজমহল, রেড ফোর্ট, রাষ্ট্রপতি ভবন.. এমনকি ৫৪৫ জন সংসদ সদস্য সহ বেচে দিয়েছিলেন ভারতের পার্লামেন্ট ভবনও।
ভারতের ইতিহাসে বিখ্যাত সেই প্রতারকের নাম নটবরলাল। অমিতাভ বচ্চনের ছবি ‘মিস্টার নটবরলাল’ এর প্রেরণা তিনিই।
বিহারের সিবান জেলার বাংরা গ্রামে জন্ম সেই এই নটবরলালের। পেশায় আইনজীবী ছিলেন তিনি। নাম মিথিলেশ কুমার।
প্রথমে আইনজীবি হিসাবে পেশা শুরু করলেও পরে বুঝতে পারেন প্রতারণা পেশায় তার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। তাই প্রতারণাই পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি। নানারকম ফাঁদে ফেলে মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়াটাই হয়ে ওঠে তার নেশা। বাদ যাননি টাটা, বিড়লা, অম্বানি, মিত্তলও। বড় বড় সব শিল্পপতিদেরও অনায়াসে ঠকিয়েছেন তিনি। ইংরেজিতে অসামান্য পারদর্শী এই ব্যক্তি অন্য কারো সাক্ষর নকল করতে পারতেন নিখুঁতভাবে।
১০০-রও বেশি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন নটবরলাল। দেশের আটটি রাজ্যে পুলিশের খাতায় নাম ছিল তাঁর। সব মিলিয়ে ১১৩ বছরের জেল হয়েছিল। কিন্তু, তিনি সর্বসাকুল্যে মোট ২০ বছর জেল খাটেন। যতবারই তাঁকে গ্রেফতার করা হত, ততবারই পালিয়ে যেতেন তিনি। একবার তো পুলিশের পোশাক চুরি করে পরে সদর্পে হেঁটে জেল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে শেষবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তখন তাঁর বয়স ৮৪ বছর। অসুস্থ থাকায় তাঁকে যখন জেল থেকে বের করে নিয়ে আসা হচ্ছিল সেইসময় স্টেশন থেকে উধাও হয়ে যান তিনি। আর তাঁকে দেখা যায়নি। তাঁর মৃত্যুও রয়ে গিয়েছে রহস্যেই। আইনজীবীর মতে তাঁর মৃত্যু হয় ২০০৯ সালের ২৫ জুলাই আবার তাঁর ভাই বলেন ১৯৯৬ তে রাঁচিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। প্রতারনার ইতিহাসে পৃথিবীর সেরা দশ জনের মধ্যে তিনি একজন তাই মৃত্যু নিয়েও রেখে গেছেন রহস্যের ছাপ…
Collected by NNC through the fb ID of Hasan Hafizur Rahman