২০১৯ সালের শেষ দিকে করোনাভাইরাসের অস্তিত্বের জানান দেয়া আর চলতি বছরের শুরু থেকে ছড়িয়ে পড়া। আর এতেই তছনছ বিশ্ব অর্থনীতি। তবে, এসময়ে চাঙ্গা হয়েছে পিছিয়ে থাকা স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। ২০১৯ ও ২০২০ সালের প্রথম ৬ মাসের আর্থিক অবস্থা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের তুলনা করে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বলছে, এ বছরের প্রথম ৬ মাসে সার্বিক অর্থনীতি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবসা-বাণিজ্য চলেছে বিপরীত দিকে। ২০১৯ সালের প্রথমার্ধের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে বৈশ্বিক অর্থনীতির আকার কমেছে ১৪ শতাংশ। অথচ এই একই সময়ে স্বাস্থ্যখাতের পণ্যের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বেড়েছে ১৬ শতাংশ। এই সময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর বাজার বেড়ে দাঁড়ায় ১.১৩৯ ট্রিলিয়ন ডলারে। বিশ্বের ৯৭টি দেশের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সম্প্রতি হাল-নাগাদ এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
এসব পণ্যের বাজার বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে আবারও সংক্রমণ রোধে জীবানুনাশক, মাস্ক, গ্লোভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, পালস অক্সিমিটার, সিরিঞ্জ, থার্মোমিটার ও ভেন্টিলেটরের চাহিদা রকেট গতিতে বেড়ে যাওয়াকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর এতেই বছর ব্যবধানের হিসাবে বিশ্বব্যাপী এধরনের পণ্যের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বেড়েছে ২৯ শতাংশ।
বছরের প্রথমার্ধের হিসাবে দেখা যাচ্ছে, ২০১৯ সালের প্রথম ৬ মাসের তুলনায় মাস্কের চাহিদা বেড়েছে ৯০ ভাগ। এসময়ে কাপড়ের তৈরি মাস্কের চাহিদা বেড়েছে। বিশেষ করে ওই সময়ে জনসম্মুখে ৬ স্তরের কাপড়ের মাস্ক পড়ার এক ধরনের হিরিক পড়েছিল বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।