ধর্ম চর্চা বাদ দিয়ে কবিতা, সাহিত্য আর উপন্যাস দিয়ে প্রজন্মের নৈতিকতা জাগ্রত করা খুব কঠিন।
দিনদিন সারা বিশ্বের সাহিত্য তো আরো সমৃদ্ধ হচ্ছে। কিন্তু মন্যুষ্যত্ব কি দিনদিন সমৃদ্ধ হচ্ছে? সারাবিশ্বে মনুষ্যত্বের আজ মুমূর্ষু দশা।
মানুষ দিন দিন যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে।
গ্লোবালাইজেশন এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকে আমরা প্রতিনিয়ত বস্তুবাদ আর নাস্তিক্যবাদের শিক্ষা পাচ্ছি। মানুষ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। নীতি নৈতিকতা বাদ দিয়ে সব কাজে ইনস্ট্যান্ট লাভ ক্ষতির হিসাব করছে।
একজন পিয়ন, সে দেখছে যে বিপদে পড়া একটা মানুষের ফাইল আটকে দিলে তৎক্ষনাৎ তার ৫০০ টাকা পকেটে আসছে।
কর্মকর্তা ভাবছে, একটা সাইন দিলেই ১০ লাখ টাকা পকেটে ঢুকছে, ৮/১০ বছর চাকরী করেও তো এই টাকা জমাতে পারব না, তাহলে এই টাকা নিব না কেনো? শুধু কেউ না জানলেই হলো!
অর্থাৎ সে ভাবছে প্রচলিত আইনের শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য আমার দূর্নীতির ব্যাপারে যদি কেউ না জানে তাহলেই আর কোনো সমস্যা নেই। এবং এটাই হচ্ছে। তাদের চোখে পার্থিব জীবনে তো আসলেই তাদের কোনো সমস্যা ধরা পরছে না। তাহলে তারা দূর্নীতি থেকে কেনো সরে আসবে!
তাই তারা প্রকাশ্যে শোঅফের ভালো কাজ করছে, আইনের চোখে, জনগনের চোখে সম্মানিত ব্যক্তি হয়ে থাকতে চাইছে এবং গোপনে ঠিকই দূর্নীতি, ঘুষ,মাদক ব্যাবসা সহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ না হলে এবং ক্ষমতার অপব্যাবহার হলে মানুষ প্রকাশ্যে অন্যায় করতেও দ্বিধা করে না।
আর আইনের অনুশাসন থাকলে এবং ক্ষমতার সদ্ব্যাবহার হলেও দেশের প্রচলিত আইন মানুষকে প্রকাশ্যে অন্যায় করা থেকে বিরত রাখতে পারে। কিন্তু মানুষের গোপনে করা প্রমান ছাড়া অন্যায় গুলো থেকে মানুষ কিভাবে বিরত থাকবে?
নীতি নৈতিকতা গঠনে ধর্মীয় শিক্ষা এবং ধর্ম চর্চার বিকল্প অন্য কিছু নেই।
মুসলমান হলে ইসলাম ধর্ম চর্চা করুক, হিন্দু হলে সনাতন ধর্ম পালন করুক। সবাই কে নিজ নিজ ধর্মীয় শিক্ষা ভালো ভাবে দিতে পারলে এবং ধর্মীয় বিশ্বাস টা মানুষের মাঝে দৃঢ় করতে পারলে, পরকালের বিশ্বাস দৃঢ় হলে মানুষ তার সৃষ্টিকর্তার ভয়ে আর কোনো খারাপ কাজ, দূর্নীতি করতে পারবে না। ধর্মচর্চা থেকে উদাসীন রেখে প্রফেশনাল ডিগ্রী অর্জনের শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে কখনো প্রজন্মকে দূর্নীতি মুক্ত, সৎ ভাবে গড়ে তোলা যাবে না -এম.এম জাহাঙ্গীর আলম