করোনা আবহের মধ্যেই দিওয়ালি উত্সবে মেতে উঠেছে দেশবাসী। গত সাত বছর ধরে সেনা জওয়ানদের সম্মান জানাতে প্রদীপ জ্বালান প্রধানমন্ত্রী। এবারেও অন্যথা হল না। শনিবার রাজস্থানের জয়সলমীরে সীমান্তরক্ষী ও সেনা-জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উত্সব পালন করবেন নরেন্দ্র মোদী।
এদিন দেশবাসীর উদ্দেশ্য দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার সীমান্তে পাক হানায় শহিদ সেনাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, এই দিওয়ালিতে আমাদের দেশের জন্য যাঁরা নির্ভয়ে সুরক্ষা দিয়ে চলেছেন তাঁদের সম্মানে প্রদীপ জ্বালাই। তাঁদের সাহসিকতার জন্য সম্মান জানাতে বিশ্বের কারোর কাছেই কোনও শব্দ নেই। সীমান্তে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি আমরা সমান সম্মান জানাচ্ছি।
সূত্রের খবর, এদিন জয়সলমীরের সীমান্তের কাছাকাছি সেনাছাউনিতে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। চলতি বছরে, এই নিয়ে দুবার সেনা-জওয়ানদের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন নরেন্দ্র মোদী। এই জুলাই মাসে, লাদাখে সেনা ছাউনিতে আচমকা গিয়েছিলেন। জুন মাসের গোড়াতেই লাদাখ সীমান্তের গালওয়ান উপত্যকায় চিনের আচমকা হামলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২০জন সেনা শহিদ হয়েছিলেন। পাল্টা জবাব দিতে পিছু পা হয়নি ভারতও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও লাদাখ সীমান্ত নিয়ে দোলাচলে রয়েছে দুই দেশ। লাদাখে জওয়ানদের মনোবল চাঙ্গা করতে ও তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন মোদী। এবার দীপাবলি উদযাপন করতে জয়সলমীরে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে প্রতিবছর ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপন করেন তিনি। ২০১৪ সালে দেশে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পরই তিনি বিশ্বের উচ্চতম রণক্ষেত্র সিয়াচেনে গিয়েছিলেন দিওয়ালি উদযাপন করতে। তারপর উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব ও জম্মু ও কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দীপাবলি পালন করেছিলেন। এবারেও অব্যাহত থাকল। অন্যদিকে, সেনাদের সম্মান জানাতে দেশবাসীকে যে আহ্বান তিনি জানিয়েছেন, সেই পথেই হেঁটেছেন বিজেপির অন্যান্য ব্যক্তিত্বরাও। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও ট্যুইটারে সেনাদের সম্মান জানাতে সকল দেশবাসীকে প্রদীপ জ্বালানোর আহ্বান দিয়েছেন।