৫ গোলের ব্যবধানে হারের পরও গোলরক্ষকের খেলায় মুগ্ধ বাংলাদেশের প্রধান কোচ জেমি ডে। সবে আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রাখা আনিসুর রহমানের চেষ্টা আর দারুণ কিছু সেভ মন জয় করে নিয়েছে তার।
কদিন আগে নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে দেশের হয়ে খেলেন প্রথমবার। এবার কাতারের বিপক্ষে হলো প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে অভিষেক। দলের বড় হারের পরও নজর কেড়েছেন ২৩ বছর বয়সী গোলরক্ষক জিকো।
দোহার আব্দুল্লাহ আল খলিফা স্টেডিয়ামে শুক্রবার ২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের ‘ই’ গ্রুপের প্রিলিমিনারি রাউন্ডের দ্বিতীয় ধাপের ম্যাচে ৫-০ গোলে হারে বাংলাদেশ। প্রথম লেগে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের আয়োজকদের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল দল।
দেশে নেপালের বিপক্ষে প্রথম প্রীতি ম্যাচে পোস্টের নিচে অলস সময় কেটেছিল জিকোর। কাতারে তার উপর দিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রীতিমতো ঝড় বয়ে গেছে। পাঁচবার পরাস্ত হয়েছেন বসুন্ধরা কিংসের এই গোলরক্ষক। তবে করেছেন ভালো কয়েকটা সেভও।
৩১তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল হজমের আগ মুহূর্তে আকরাম হাসান আফিফের শট শেষ মুহূর্তে পা বাড়িয়ে আটকেছিলেন। ৫৫ তম মিনিটে রিয়াদুল হাসান রাফির ভুলে বল পাওয়া আলাদিনের প্রচেষ্টা ফেরান কর্নারের বিনিময়ে ফেরান।
৬৪তম মিনিটে দূরপাল্লার একটি শট অনেকটা লাফিয়ে ফিস্ট করে নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন। আল মোয়েজ আলির স্পট কিকের সময়ও ছিলেন বলের লাইনে। কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়া জিকোর হাত ছুঁয়ে বল জালে জড়ায়।
জিকোর খেলায় তাই খুশি বাংলাদেশ কোচ। অল্প সময়ের প্রস্তুতি নিয়ে কাতারের বিপক্ষে দলের খেলায়ও সন্তুষ্ট এই ইংলিশ কোচ।
“কাতার এশিয়ার সেরা দল। তারা চার মাস ধরে অনুশীলন করছে। আমরা অনুশীলন করেছি পাঁচ সপ্তাহ। আগের ম্যাচে তারা শক্তিশালী কোরিয়ার বিপক্ষে খেলে এসেছে। আমি মনে করি, তাদের বিপক্ষে ছেলেরা দারুণ খেলেছে।”“আমি মনে করি, জিকোকে খেলিয়ে আমি ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে চমৎকার কয়েকটা সেভ করেছে। (প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে) এটা তার প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সে অবিশ্বাস্য এবং বিশ্বমানের কিছু সেভ করেছে। তবে স্কোরলাইন ৪-০ হলে ভালো হতো।”
এশিয়ার চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে নিজেদের পার্থক্যের প্রসঙ্গও টানলেন বাংলাদেশ কোচ।
“কাতারের মতো বলের নিয়ন্ত্রণ এবং টেকিনিক্যাল সামর্থ্য আমাদের নেই। তবে ছেলেরা শতভাগ দিয়েছে। এই অল্প সময়ের মধ্যে কাতারের বিপক্ষে খেলার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে।”