অতীতের বসত বাড়ি কোথায়? মস্তিষ্কের জট পাকানো নিউরন্স…
না… বাঁ দিকের বুকের পাথর চাপা হ্রদ!
না পাওয়ার হিসেবের খেরোর খাতাতে…!
সেখানে যত্নে উলোটপালোট অনুরনণে…
চোখ দিয়ে কেন পড়ে নোনা জল রাতের নিস্তব্ধতা ঘিরে?
তবে কি পুরোনো দিনমালা ওই লেখা চোখের জলে…!?
কেন হয় স্মৃতিচারণ … ভুল করা প্রবাদ প্রবচন,ভুল উচ্চারণ পিছিয়ে পড়া সময়ে!
লাল কালিতে কাটা–খানিক কাঁটা,
অক্ষত আজও সাদা কাগজের পাতা
ভুল গুলো শুধরানোর যায় না জানি কখনো…
ডুব দিয়ে সাত সাগর তলায় যক্ষপুরীতে নাগপাশের বন্ধন … অতীত নাড়া দিয়ে …গিট বাঁধা প্রহরে |
কাতরে বলি ..কোথা আছো উলুপি, আমায় রক্ষা করো…
প্রাণ ভিক্ষা নয় … আমায় অবচেতন করে দাও
নিষ্কৃতি অতীতের…
দেখতে চাই না… স্পর্শ করতে চাই না… চাইনা সেদিনগুলোতে ফিরে যেতে
আমি কোমায় শুধু মৃত্যুর অপেক্ষায়, অতীত আবর্জনা বিসর্জনের বাদ্য বাজাই…
“থাকবে কতক্ষন, তুমি যাবে কতক্ষন “….
নিরঞ্জন হোক অতীতের… আমি আমার ভুল গুলো শুধরে নিয়ে নতুন করে যে বাঁচতে চাই…নব অবয়বে… নব সম্পর্কে…
ডুব সাগরে আর যাবো না অক্সিজেন মাস্কে,
প্রকৃতিতে খানিক শ্বাস নিয়ে, চিনবো জগতকে
আমি নদীর তীরে দেখবো বর্তমানের রঙিন দিনলিপি,
মাছরাঙা মাছ তুলে কেমন খায়…
আনন্দে…ডুব দিয়ে শুধু মাছ তুলে…
শিক্ষক অতীত
অঞ্জনা চক্রবর্তী
মেয়েটা আজ পাল্টে গেল… বড্ডো বদমেজাজি
যে ছিল নিরীহ বড়ো সে যে হলো পাজি |
অনেক ঢিল সহ্য করে , অতীত দিলো পাল্টে
সমাজ যখন আঘাত করে শান্ত শিষ্ট গোবেচারাকে…
ডারউইনের নীতি এসে অতীত শেখায় শক্ত হতে
জীবন মানে দুর্বলের প্রতি সবলের আক্রমণ অজ্ঞাতে |
অতীত বলে হারতে শেখো শৈশবের ওই লাফ দড়িতে
সাপ লুডোতে চলবে জীবন , পাস ফেলের পাটিগণিতে |
অতীত শিক্ষক আসে অভিজ্ঞতার রূপ ধরে
অনেক কান্না, হোঁচট খাওয়া, জীবনটাকে বদলে দিতে |
হামাগুড়িতে সেই যে শুরু খিদে পেলে কান্নাতে
ওঠা পড়া বিবর্তন পরিবর্তন প্রত্যাঘাতে |
অতীত শিক্ষক সইতে শেখায় বইতে শেখায় বর্তমানকে
অতীত আছে বর্তমানের পাতালপুরীর কুলিঙ্গিতে |
অতীত যে বর্তমানে লুকিয়ে…
অঞ্জনা চক্রবর্তী
অতীত ছেড়ে যাবে কোথায়? বলে যে বর্তমান
ইতিহাসের পাতায় পাতায় গজিয়ে ওঠা বিদ্যমান |
পোড়া বাড়ি বটের ঝাড়ি প্রযুক্তিবীদের তথ্য
সেই অঙ্কুরেই আছে যে আজকের বুড়ো বটবৃক্ষ |
অতীত চেনে জহুরি চোখ , এখনকার চরিত্র
কথায় ব্যবহারে শব্দ চয়নে মুখ্যমণ্ডলীতে প্রতিফলিত |
পূর্বজরা আছেন যে জীন গত ধমনীতে
অতীতটা তাই আপনা আপনিই দেখা যায় অবয়বে |
শিক্ষা পরিবেশ সমীকরণে বর্তমানটা বাড়তে থাকে
কবে কার সেই পান্না চুনি আজও আছে মুক্তধারাতে…
হুমায়ুন আহমেদ বলেন,সমগ্র অতীত লেখা আছে চেহারায়
মানুষ দেখায় অতীতটা যে স্পষ্ট হয়ে পড়া যায় |
যা গেছে চলে
কি হবে কয়ে…
অঞ্জনা চক্রবর্তী
এখন বেশ গুছিয়ে নিয়ে খানিক বর্তমানে
যা গেছে চলে , কি হবে আজ সে কথা কয়ে?
সে তো ফেরারী পথে হাঁটে না কখনো…..বেভুল হয়ে…
বসন্ত কি আসে বৈশেখের পরে, বিভুল পথভ্রষ্ট কোচকানো সাদা চুলে?
নিজেও যে যেতে পারিনা ব্যাক গিয়ারে যথাযথ পুরাতনে…নতুন করে…
পুরোনো দিন কি আসে ফিরে? পাবো কি তাকে রাখতে ধরে?যেমন ছিল আগের মত ঘটনা গুলো
ক্রমাগত…
একের পিঠে আর এক চেপে ,আয়না করে…
তবে কি হবে সে কথা কয়ে.. সে কথা ভেবে…
যে দিন গেছে যে চলে
যাক না সে দূরদেশে.. নিরুদ্দেশে..যাবই ভুলে…
নিছক সময় অপচয় ;ডুব দিয়ে পানকৌড়ি উঠে আসে জলে
খানিক দণ্ড হয়তো জলের ভিতরে ধরতে যায়..ওষ্টে রাখা সময়…
তবু আসতে হয় যে মুখ তুলে,
সামনের রাস্তাতে.. জনজট ছাড়িয়ে.. আগামীতে..
বুকে সঞ্চিত সেই উপভোগ্য তিরতির ফেলে আসা
বাস্তব…
কি হবে তবে অতীতে গিয়ে… যে যায় চলে,
তাকে যে পথ ছেড়ে দিতে হয়..ধরা না দেয় মনের সুখে… থাক গভীর অনুভূতিতে …
যাবো না ফিরে |
ফিরবে না জেনে.. মেনে নিয়ে… বাস্তবে থেকে দাও সরিয়ে
কি হবে তবে কয়ে!সে তো আর আসবে না ফিরে
যথাযত স্থান কাল পাত্রে..
থাকুক সে নিজের মত বাক্স-বন্দী প্যাট্রাতে |
কি হবে কয়ে…যা গেছে চলে…