আমি ছিলাম , আমি আছি , আমি থাকব ;
চিনে নিচ্ছ তো আমায় !
আমি যে মায়ার আধার
এসেছি আদমের হাত ধরে ধরণীতে
করেছি আপন পেতেছি সংসার
পূর্ণতা খুঁজে ফিরি মাতৃত্বের অহমিকায় ।
রাতের নিঃস্তব্ধতায় শুভ্র গেরুয়া বসনের পারিজাত,
ভোরের আলো ফোটার আগেই ঝরে পড়ে ।
অশ্রুবিন্দু হয়ে অঝোরে ঝরে তার ব্যর্থতার হাহাকার !
তেমনি ঝরে পড়তে দিও না আমায় ।
আমায় যে প্রয়োজন দেবতার অর্ঘ্যে -পুজোর ডালিতে ।
ঐ যে সূর্যমুখী দিনমান তাকিয়ে রয় প্রখর আলোর পানে ,
সূর্যদেবতা যে তাকে আজও ক্ষমা করেনি ।
পরী ক্লাইটির তেমন বিষাদ আমাকে দিও না ।
লাইলাক আমি , ভালোবাসার প্রতীক
আমি বিমোহিত করি সৌন্দর্যে ,
অনুভূতিকে জড়িয়ে রাখি সুগন্ধে ।
দেবতা অ্যাপোলোর মাথার মুকুট আমি ;
তেমনি ভালোবাসা দাও আমায় ।
যুগ যুগ আমি অপেক্ষার প্রহর গুণি,
আশার প্রতীক হয়ে ঝরে পড়ি সুগন্ধি অ্যামন্ডে ,
তেমন বিচ্ছেদ আমায় দিও না ।
আমাকে তুচ্ছ জ্ঞানে নিজের ক্ষতি করো না ,
লাঞ্ছিত ,অপমানিত করো না আমায়
এতোটা অহংকারী হয়োনা ঐ নার্সিসাসের মত ;
নিজের রূপে নিজেই না বিলীন হয়ে যাও ।
অ্যানিমোন ফুলের তীব্র সুবাসে ভালোবাসাকে বাঁচিয়ে রেখেছে দেবী আফ্রোদিতি ।
চিনে নিয়েছ তো আমায় ; আমি যে সেই মায়া !