বরিশাল বিভাগীয় ব্যুরো চীফঃ বরিশালের ঝালকাঠি জেলাধীন কাঠালিয়া গত ১৬ সেপ্টেম্বর কাঠালিয়া নাগরিক ফোরামের নামে একটি সংগঠন ৮/১০ জন সদস্য নিয়ে খাস জমি উদ্ধারের যে মানববন্ধন করেছিল, তারই এ্যাকশন শুরু হয়েছে কাঠালিয়ায়। কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গত ১৭ জুলাই বৃহস্পতিবার কাঠালিয়া সদর দক্ষিন আউরায় বেইলী ব্রিজ সংলগ্ন একটি জমিতে থাকা সমিল ঘর উচ্ছেদ করেছে। এ দিকে গত এক মাস আগে সাংবাদিকদের এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে উক্ত জমিতে থাকা ৩/৪ জন সদস্য এরা হলেন জাহিদ হোসেন মল্লিক, সাইফুল মল্লিকসহ আরও কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেছিলেন তাদের এই ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে স্থানীয় একটি কুচক্র মহল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ভুলভাল বুঝিয়ে আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তির উচ্ছেদের পায়তারা চালাচ্ছেন। এ বিষয় এদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান। এ বিষয় স্থানীয় দলিল লেখক জাহিদ হোসেন মল্লিক বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নোটিশ পেয়ে কোনো উপায়ন্ত না পেয়ে আমরা আদালতে স্বরনাপন্ন হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছি। গত ১৭ সেপ্টেম্বর মামলার তারিখ স্থিতিশীলতার বজায় রাখা নির্দেশ না দিয়ে আদালত সামনে তারিখ নির্ধারন করেন। এই সুযোগে উপজেলা কর্মকর্তা আমাদের এই জমিতে থাকা স্থাপনা সমিলটি ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুর দুই টার পর ভেঙ্গে ফেলেছেন। এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র জানান, উচ্ছেদকৃত সম্পত্তিতে যে কাগজ পর্চা রয়েছে তাহা হিন্দু জমিদারদের নামে থাকার কারনে ঐ সম্পত্তি সরকারের ১ নম্বর খতিয়ান ভুক্ত হয়। ঐ জমিতে জনসাধারণের চলাচলের একটি হালট রয়েছে। যেহেতু ঐ সম্পত্তি সরকারের তাই আমরা জমিটি উদ্ধার করেছি। মামলা হয়েছে তাহা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু আদালত মামলার স্থিতিশীলতার ব্যাপারে কোন নির্দেশ দেয়নি, তাই আমাদের সম্পত্তি আমরা দখলে নিয়েছি। পরবর্তীতে আদালত থেকে ভোগ দখলকারীরা তাদের দলিল দিয়ে রায় নিয়ে আসতে পারলে তখন তাদের আমি নিজেই বুঝিয়ে দিবো। এ দিকে কাঠালিয়া নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদাক ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সফিকুল ইসলাম রাসেল সিকদার বলেন, যেহেতু উচ্ছেদকৃত সম্পত্তি ভোগদখলকারীরা এক মাস পূর্বে সাংবাদিকদের এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন কিছু কুচক্রী মহল উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ভুলভাল বুঝিয়ে উচ্ছেদের পায়তারা চালাচ্ছে। সেই নাগরিক ফোরামের কতিপয় সদস্যই এই কুচক্রী মহলের সাথে আঁতাত করে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে বলে তিনি সন্দেহ করেন। নইলে কাঠালিয়াতে সরকারের দখলে অনেক খালি জমি পড়ে রয়েছে। সেগুলোকে ভূমিহীনদের মাঝে বিতরণ না করে উচ্ছেদের অভিযানটি কেন মানববন্ধনের সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া শুরু হলো এ কারনেই সন্দেহ।
