রাশিদুল ইসলাম : [২] ইরনা এসব সংঘর্ষের খবর জানিয়ে বলেছে, কোনো কোনো স্থানে আফগান সৈন্যরা তালেবানের অগ্রাভিযান প্রতিহত করেছে এবং কোনো কোনো জেলা তালেবানের দখলে চলে গেছে।
[৩] কান্দাহারে সেনা কমান্ডার মোহাম্মাদ সাদেক ঈসা জানিয়েছেন, শহরে তালেবান অস্ত্রধারীদের সঙ্গে তাদের তীব্র সংঘর্ষ চলছে। কান্দাহার দখলের দাবি জানালেও তালেবানদের হটাতে আফগান বিমান বাহিনী হামলা শুরু করে।
[৪] গজনি সিটি কর্পোরেশনের একজন কাউন্সিলর বলেছেন, তালেবান অস্ত্রধারীরা ঘরবাড়িতে ঢুকে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে তাদেরকে সরকারি সেনাদের বিরুদ্ধে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। গজনি প্রদেশের মালেস্তান, নাহুর ও জাগুরি জেলায় তালেবানের কয়েক দফা হামলা প্রতিহত করেছে সরকারি সেনারা।
[৫] বাগদিস প্রদেশের গভর্নর হিসামউদ্দিন শামস জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত থেকে প্রদেশের ‘কালা নু’ শহরে ফের হামলা শুরু করে তালেবান। রাতভর সংঘর্ষের পর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়ে তারা পিছু হটছে।
[৬] শামস বলেন, বাগদিসের প্রাদেশিক পরিষদের দুই সদস্য ফরিদ আখিজি ও খানজান জাফর সরকার পক্ষ ত্যাগ করে তালেবানে যোগ দিয়েছেন। সরকারি সেনাদের তালেবানের কাছে আত্মসমর্পণে উৎসাহ দেওয়ায় আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংসদ সদস্য আমিরশাহ নায়েবজাদার দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
[৭] গত ২৪ ঘণ্টায় তালেবানের হাতে হেরাত প্রদেশের কারখ, কাহসান, গোলরান, কাশকে কোহনে, কাশকে রোবাত সাঙ্গিন, শিনদাঁদ, আদরাসকান ও পাশতুন জারগুন জেলার পতন হয়েছে।
[৮] আফগানিস্তানের সাবেক মুজাহিদ কমান্ডার ইসমাইল খান তালেবানের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।