নিউজ স্বাধীন বাংলা: চাঁদাবাজ আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর চারটি পৃথক অভিযোগ দায়ের হলেও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে বীরদর্পে এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোচালকদের রক্তচুষে খাওয়া আফজাল হোসেন।
১ জুলাই থেকে তিন জুলাইয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে অভিযোগ দায়ের করেন ফতুল্লার দেলপাড়ার শাকিল, শিবুমার্কেটের সৈয়দ হোসেন, ভূইগড়ের রাসেল সাউদ ও শান্তিধারার আক্তার হোসেন। তারা প্রত্যেকেই লিংক রোডের ইজিবাইক চালক।
এদিকে আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের পর থেকে আফজাল বাহিনীর ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে অটোচালকরা। আর বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে অভিযুক্ত আফজাল। সে দীর্ঘদিন ধরেই লিং রোডের অটোচালকদের কাছ থেকে জোরপূর্ব চাঁদাবাজি করে আসছে, এমন অভিযোগ অটোচালকদের।
তাদের পৃথক অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, একটি নোয়া মাইক্রোবাস দিয়ে ৮/১০ জন সহযোগী নিয়ে লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় গিয়ে ইজিবাইকসহ বিভিন্ন পরিবহনের চালকদের ডেকে কাছে নিয়ে নানা ভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবী করেন আফজাল হোসেন। কখনো গাড়ির তেল কেনার টাকা দাবী করে এক থেকে দেড় হাজার টাকা নিয়ে যায় আবার কখনো সিগারেট কেনার কথা বলে ৫০০/১০০০ টাকা নিয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে উত্যক্ত করে আসছে আফজাল হোসেন।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, আফজাল হোসেন ইজিবাইক, সিএনজি ও টেম্পু সহ বিভিন্ন পরিবহনের চালকদের ডেকে ভয় ভীতি দেখিয়ে বলেন সাইনবোর্ড এলাকায় আমার নেতৃত্বে পরিবহন সেক্টর চলবে। আমি পরিবহন সেক্টরের নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্য আমার আত্মীয় স্বজন র্যাব পুলিশে চাকুরী করে। কেউ যদি আমার বিরুদ্ধে কথা বলবি তাহলে মামলাতো খাবি ও পরিনামও খারাপ হবে। এ ভাবে হুমকি দিয়ে প্রতিদিনই বিভিন্ন গাড়ির চালকদের কাছ থেকে জোড় করে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়।
এবিষয়ে একাধিক ইজিবাইক চালকরা জানান, আফজাল হোসেন ফতুল্লার ভূইগড় চৌরাপাড়া এলাকার ওমর মাদবরের ছেলে। কোন কাজকর্ম ব্যবসা বানিজ্য করেনা। ভূমি দস্যুতা করে একটি নোয়া গাড়ি কিনেছে। সেই গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ফিরে প্রভাব বিস্তার সৃস্টি করে সাধারন মানুষের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়।
এবিষয়ে আফজাল হোসেন ৩ জুলাই জানিয়েছিলেন, ইজিবাইক চালকরা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে আমি তাৎক্ষনিকই শুনেছি। তাদের অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট। আমার বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক অভিযোগ করা হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানিয়েছিলেন, পুলিশ সুপার কার্যালয়ে চালকদের দাখিল করা অভিযোগের কাগজ গুলো এখনো পুলিশ সুপারের নির্দেশনাসহ থানায় আসেনি। অভিযোগ গুলো হাতে পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো জানান, জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের নির্দেশ ফতুল্লায় মাদক,সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজসহ অপরাধীদের গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান চলছে। কোন অপরাধীই ছাড় পাবেনা।
