তেঁতুলিয়ার করালগ্রাসে ভেঙ্গে গেছে বাপ-দাদার সহায় সম্পতি। ৭ শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে নদীর পাড়ে বসবাস করতেন বাছির মাতাব্বর। নদীতে মাছ ধরে বহু কষ্টে উপার্জিত অর্থ দিয়ে বাড়ি নির্মাণের জন্য কুতুবা ইউনিয়নের ছোট মানিকায় ৭ কড়া জমি ক্রয় করেন তিনি।
২০১৯ সালে ক্রয়কৃত জায়গায় বাড়ি করতে গেলে মোঃ ছিদ্দিক সৈয়দ গং, শাহজাহান সৈয়দ গং ও ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদারসহ কিছু লোক বাড়ি নির্মাণে বাঁধা প্রদান করেন। এরপর বিচারের জন্য কুতুবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে যান। কিন্তু গত দুই বছর যাবত বিচারের বাণী শুধু নিরবে-নিভৃতে কেঁদেছে। দীর্ঘ এই সময় সাত শিশু সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করেছেন বাছির মাতাব্বর। দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিয়ে বলতেন, অনেক কষ্টে ক্রয়কৃত জায়গার দখল ও সেখানে বাড়ি নির্মাণ করতে পারবোতো?
সম্প্রতি আমার বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা হযরত আলী মিন্টু মাতাব্বর বিষয়টি আমাকে অবহিত করেন। আমি টেলিফোনে ভোলা-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বন্ধুবর আলী আজম মুকুলকে অবহিত করলে তিনি খুবই মর্মাহত হন। তিনি আমাকে ফোন লাইনে রেখে কুতুবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান জোবায়েদ মিয়াকে টেলিকনফারেন্সে আনেন এবং আলোচনার পর বাড়ি নির্মাণের অনুমতি মিলে। বাছির মাতাব্বর আজ তার জায়গায় ঘর নির্মাণ করে সন্তানদেরকে নিয়ে বসবাস শুরু করেছেন।
আজ বাছির মাতাব্বরের সাথে টেলিফোনে আমার কথা হলো। আনন্দে আপ্লুত হয়ে বল্লেন, আমি এবং আমার পরিবারের সবাই সারাজীবন এমপি সাহেব এবং আপনাদের জন্য দোয়া করবো। আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই মানবতার এমপি বন্ধুবর আলী আজম মুকুলকে। যিনি মানবতার মুকুল হিসেবে পরিচিত।
আমি আরো ধন্যবাদ জানাই কুতুবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান জোবায়েদ মিয়াকে। তিনি একজন কৃতজ্ঞ মানুষ। ২০০১-২০০২ সালের ঘটনা। তখন বিএনপি ক্ষমতায়। আওয়ামিলীগ নেতা-কর্মীদের দূরাবস্থা। সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। জোবায়েদ মিয়া আমার সাথে দেখা করতে আমার গুলশান অফিসে আসলেন এবং সমস্যার কথা তুলে ধরলেন। আমি একজন ক্ষুদ্র মানুষ হিসেবে আমার সাধ্যমত সহযোগিতা করেছি। সেবার তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানেও তিনি কুতুবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এর আগে একবার চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে টেলিফোনে কথা হয়েছিল। তথনো এমপি সাহেবও লাইনে ছিলেন। জোবায়েদ মিয়া নিজ থেকেই আমার সহযোগিতার বিষয়টি উত্থাপন করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন। শুধু জোবায়েদ মিয়াই নয়, আওয়ামিলীগের দূর্দিনে আরো অনেককে সহযোগিতা করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। ক’জনই বা সে কথা মনে রেখেছেন এবং ক’জনই বা কৃতজ্ঞ স্বীকার করেন। একজন ক্ষমতাসীন ব্যক্তি হয়েও নাজমুল আহসান জোবায়েদ মিয়া কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন। আরো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অষ্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ জার্নালিষ্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মতিন ও জাতীয় সংবদি সংগ্রহ সংস্থা এনএনসি পরিবার