কোভিড -১৯, লকডাউন, প্রিয়জন হারানোর শোক, সব মিলিয়ে অচেনা স্তব্ধতায় সব যখন আমার তালগোল পাকানো অাবস্থা – তখন এসব ভুলে থাকার পথ খুঁজতে গিয়ে ফরজ রোজার আগেই মাসাবধি রোজা -নামাজে স্থিত হয়েও যখন ভুলে থাকা যায়নি এ অস্থিরতা। তখন রোজা -নামাজের পাশাপাশি লেখক সত্তা জেগে উঠলো। লিখতে শুরু করলাম। অসমাপ্ত উপন্যাস ‘বিভ্রান্ত পথিক ‘ শেষ করলাম। প্রায় সাড়ে চারশত পৃষ্ঠার উপন্যাসটি শেষ হল অবশেষে গত ২৪ -০৪ -২০২০ তারিখে। শুরু করেছিলাম ০১ -০৪ -২০২০ তারিখে। প্রতিদিন সাত থেকে অাটঘন্টা লিখেছি। গতানুগতিক প্রেম জটিলতা নিয়ে এ লেখাটা এগোয়নি। নায়ক প্রধান ভিন্নধর্মী লেখা এটি। বিভ্রান্ত পথিকের নায়ক দেশ থেকে দেশান্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সে যখন যা দেখছে, লেখক তাই বর্ণনা করছে। বিভিন্ন চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে শিল্পীত ভাষায় কিছু বর্ণনা অাছে। হয়তো কারো কারো কাছে নাক সিটকানোর ব্যাপার হতে পারে কিন্তু চরিত্রের জন্যই শিল্পিতভাবে লেখা হয়েছে সে বিষয়গুলো। এ উপন্যাসে হিজরা, অন্ধ, মাজার, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, রোহিঙ্গা, ধর্ম, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, আদিমানুষ, করোনা ভাইরাসে মহামারি এবং বিশ্ব রাজনীতিসহ অনেক বিষয়ই উঠে এসেছে ঘটনা পরম্পরায়। হতে পারে এ উপন্যাসটিই অামাকে বাঁচিয়ে রাখবে। এ উপন্যাসটি লিখতে অনেক পড়াশোনা ও ঘাটাঘাটি করতে হয়েছে।দোয়া চাই সবার। -এনএনসি (মফিদা আকবরের পোষ্ট থেকে)
