নিউজ স্বাধীন বাংলা: মাদরসায় তৃতীয় শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত ১২ ছাত্রীকে ধর্ষণ অভিযোগে আটক মাদরাসার প্রধান শিক্ষক আল আমিন ধর্ষণ করেনি! তার দাবি তার কোনো দোষ নেই, তাকে দিয়ে ‘১২ ছাত্রীকে শয়তান ধর্ষণ করিয়েছে!’ আটকের পর ওই লম্পট শিক্ষক এমনটাই জানিয়েছে। পাশাপাশি তার ‘ফাঁসি’ দরকার বলেও মনে করেন।
৪ জুলাই সকালে র্যাব-১১ এর একটি দল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকার বায়তুল হুদা ক্যাডেট মাদরাসা থেকে আল আমিনকে আটক করে। তিনি এই মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ এবং একটি মসজিদের ইমামও।
আল আমিন তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে ওই মাদরাসার একটি কক্ষে থাকতেন। স্ত্রী না থাকলেই তিনি শিশুদেরকে পর্ণ ভিডিও দেখিয়ে ধর্ষণ করতো। তার কাছ থেকে বেশ কিছু পর্ণ ভিডিও উদ্ধার করেছে র্যাব-১১ এর ওই অভিযানিক দল। আল আমিন কুমিল্লার মুরাদ নগর উপজেলার ভূইয়া পাড়া এলাকার রেনু মিয়ার ছেলে।
অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া র্যাব কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন জানান, অক্সফোর্ড স্কুলের ঘটনাটি টিভিতে দেখালে ওই মাদরাসার ৩য় শ্রেণির এক ছাত্রী তার মাকে বলে- ‘আমাদের আল আমিন হুজুরও তো আমাদের সাথে এসব করে’। শিশুটি তার মায়ের কাছে ঘটনাগুলো জানায়।
পরে শিশুটির মা ঘটনাটি র্যাবকে জানালে ওই মেয়ের জবানবন্দি নিয়ে তদন্ত শুরু করে র্যাব। তদন্তে জানা যায়, শুধু ওই শিক্ষার্থীই নয়, ২০১৮ সাল থেকে অর্থাৎ গত ১ বছর ধরে মাদরাসার ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া অন্তত ১২টি শিশুকে ধর্ষণ করে আল আমিন।
এই র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেফতার অধ্যক্ষ আল আমিন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সব ঘটনা স্বীকার করেছে। সে তার পরিবারসহ মাদরাসার ভেতরেই থাকতো। স্ত্রী কোথাও গেলে বা মাদরাসা ছুটির পর সুযোগ বুঝে শিক্ষার্থীদের সাথে এসব করতো সে। তার দাবি, সে আগে এমন ছিল না, শয়তানই তাকে দিয়ে এসব করিয়েছে। তার নিজের কোনো দোষ নাই।
আল আমিনকে আটকের পর বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে লে. কর্ণেল কাজী শামসের উদ্দিন বলেন, ঘটনার প্রমাণস্বরূপ আল আমিনের মোবাইল ও কম্পিউটারে প্রচুর নোংরা ভিডিও পেয়েছি। কিছু ভিডিও সে নিজেই বানিয়েছে। পড়তে আসা ছাত্রীদের ছবি ভিডিওতে সংযুক্ত করে সেগুলো দেখিয়ে বারবার ধর্ষণ করতো।
