নিউজ স্বাধীন বাংলা: মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ মানে জনগণের দল। আমরা এমন নেতা চাই না যারা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে। ক্ষমতা হাতে নিয়ে চাঁদাবাজি করবে।’
রোববার (৩০ জুন) বিকেলে চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রমিক লীগের উদ্যোগে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এক অলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘ শ্রমিক লীগের সেক্রটারি বলেছেন, আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগ নাই, সেটা এখন আমি লীগ হয়ে গেছে। আর আমিও মনে করি সত্যই সেই অবস্থা হয়েছে। আমরা চাই আমি লীগ থেকে আওয়ামী লীগ হতে।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘১৯৪৯ সালে ঢাকার রোজ গার্ডেনে আওয়ামী লীগের গোড়াপত্তন হয়েছিল। অনেকে বলেন, আওয়ামী লীগের জন্ম নারায়ণগঞ্জে। আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিলো ঢাকার রোজ গার্ডেনে। সেখানে প্রথম অনুষ্ঠান হয়েছিল। পরে জাতির জনক শেখ মজিবুর রহমান নারায়ণগঞ্জের বায়তুল আমানে বসতে চেয়েছিলেন সভা করার জন্য। কিন্তু যখন তিনি নারায়ণগঞ্জের বায়তুল আমানে বসতে পারলেন না তখন তিনি বিকল্প উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। যখন পাইকপাড়া মিউচুয়াল ক্লাবের সামনে আসলেন তখন ওই এলাকার মুরুব্বীরা তাকে বসতে দিলেন। আর আওয়ামী লীগের নেতারা তাকে সুরক্ষা দিলেন যাতে তাকে কেউ আক্রমন করতে না পারে। এই হলো নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের ইতিহাস।’
তিনি আরো বলেন, ‘৬ দফা আন্দোলন এই নারায়ণগঞ্জে গোড়াপত্তন হয়েছিল। আওয়ামী লীগ জন্ম না হলে বাংলাদেশ জন্ম হতো না। আওয়ামী লীগ জন্ম না হলে আজকে অনেকে ডিসি-এসপি হতে পারতো না। আওয়ামী লীগ জন্ম না হলে বাংলাদেশের টাইগাররা বিশ্বে দামাল করতে পারতো না। এটাই আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস।’
আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মধ্যেও যারা দুর্নীতি করে তাদেরও শেখ হাসিনা ছাড় দিচ্ছেন না। কোন অপকর্ম ছাড় দিচ্ছেন না। আমরা চাওয়া-পাওয়ার রাজনীতি করি না। আমরা এমন এক আওয়ামী লীগ চাই যেখানে শুধু দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করবে।’
মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি কাজিমউদ্দিন প্রধানের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় শ্রমিক লীগের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহাবুদ্দিন মিয়া, জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মো: শহীদ উল্লাহ ,সাধারণ সম্পাদক মাঈনুদ্দিন আহমেদ বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুজ শিকদার , মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান মুন্না, জেলা যুব শ্রমিক লীগের সভাপতি আরিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী লিটন প্রমুখ।