এমন একটা আঘাত আমাকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে গেছে,
আমি হাতজোড় করেও মাফ পাইনি তার কাছ থেকে ;
অসম্ভব রকম অপরাধ করেছি, ক্ষমা করে নি,
একটাবারের জন্যও আমাকে, আমার ঝাঁঝরা করে দেয়া মনকে মনে পরে নি তার।
কী নিঃস্ব, কী অসহায় করে আমাকে ছুঁড়ে ফেলে গেল।
ক্ষত বিক্ষত করে দিল আমার চঞ্চল রাত্রিদিন, কিভাবে আমি বাঁচব আমার এ মৃত শরীর নিয়ে?
হয়তো আমার দ্বারা আর কিছুই হবে না, এমনটাতো হবার কথা ছিল না,
এমনতো প্রতিশোধ নেওয়ার কথা ছিল না, ছিল নাতো আমাকে এভাবে ভিখারি,
কাঙাল করে পথের মধ্যে ফেলে দেওয়া।
সেওতো কথা দিয়েছিল শক্ত করে আমার এ করুণ হাতটা ধরে রাখা,
কেন এমন বিচার হল আমার ওপর! আমি কি তাহলে মানুষ নই!
মানুষ নামের কলংক? কেন এমন কঠিনতর শাস্তি?
কেন এ মিছে মিছে খেলা হল আমার সাথে! কেন এমন হয়রানি!
কেন এমন সহিংসতা! আমি স্তব্ধ আমি নিরুৎসাহিত,
আমি নিরুত্তর, নাহ্ আমি কিছু কেন ভাবতে পারি না!
আমি কেন বারবার অজস্র মৃত্যুরে দেখি! আমি এতো বড় অপরাধী????
মানুষ খুন করলেও রাষ্ট্র খুনীর জন্য সর্বশেষ রাজক্ষমার ব্যবস্হা রাখে।
কিন্তু আমাকে!!!??? হ্যা,আমি বড় অপরাধী, আমি অন্যায়কারী,
আমি প্রবঞ্চনা করি নাই বলে, আমি প্রতারণা করি নাই বলে,
আমি কথা দিয়ে কথা রাখতে চেয়েছি বলে,
আমি না দেখে নিঃশব্দে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যেত বলে,
আমি আকাশ ভ্রমণকে সহজে হার না মেনে টিকেট করে দিয়েছি বলে,
আমি ছোট্ট মেয়েটাকে প্রথম শাড়ি পরিয়ে দেখতে চেয়েছিলাম বলে,
আমি আর ভাবতে পারছি না, আমি এতো পাহাড়সম অপরাধ করেছি।
আমি বিচার চাই না, আমি আমার অধিকার চাই না,
আমি কোনো কথা বলতে চাই না আর, আমি নিরব হয়ে যেতে চাই,
আমি থমকে গেছি, আমি অসাড়, আমি নিস্তব্ধ,
আমি নিস্তারহীন পাওয়া এক অমানুষিক, অমানবিক নির্যাতনের শরীর,
আমি ডুবে যেতে চাই জনসমক্ষে তোমার,
আমি তিলে তিলে গহীন অন্ধকারে অন্তর্ঘাতী এক মানুষ।
(৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১)